গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের দু’সপ্তাহ, লাশের পর লাশ পড়লেও যুদ্ধ বিরতির ইঙ্গিত নেই

|

দুই সপ্তাহ পার হলো ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত। এখন পর্যন্ত কেবল ধ্বংস আর ক্রমবর্ধমান লাশের সংখ্যা ছাড়া যুদ্ধ থামার কোনো দৃশ্যমান আশার আলো নেই। বরং এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।

শুরু থেকেই অঘোষিত লড়াইয়ে জড়িয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। নতুন করে যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়েছে ইয়েমেনেও। বিশ্ব নেতারা আপাত দৃষ্টিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালালেও, অনড় অবস্থানে তেলআবিব। ফলে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাথে তেলআবিবের সংঘর্ষের শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় লেবানন সীমান্তে। গাজায় হামলার পাল্টা জবাবে ইসরায়েলে মিসাইল ছোড়ে হিজবুল্লাহ। বসে নেই সিরিয়া ও ইয়েমেনও। সরাসরি সংঘাতে না জড়ালেও ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ইরানও। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে সংঘাত বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে তা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চলমান পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় আঞ্চলিক এবং পশ্চিমা কূটনৈতিক তৎপরতা দেখা গেছে। কিন্তু ইসরায়েলকে নমনীয় অবস্থানে আনতে বা সংঘাত থামাতে কোনোটিই কার্যকর হয়নি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল সফরেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থনের অভিযোগ করছেন অনেকে। তারা বলছেন, সদিচ্ছা ছাড়া সংকট সমাধান অসম্ভব।

এনিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, গাজা উপত্যকায় চলমান সংকট গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার বেশ ঝুঁকি রয়েছে। আমরা আগেই বলেছি, সংকট সমাধানে আমাদের তোলা রেজ্যুলেশনে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিরা এটাই বুঝিয়েছে অস্ত্রবিরতি কিংবা যুদ্ধ বিরতি আহ্বান জানানোর জন্য তারা প্রস্তুত নয়। যদি তাই হয়, সম্ভবত তারা চায় যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হোক।

গাজার অচলাবস্থা নিরসন এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা রুখতে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর তাই জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তবে তা কতটুকু সফল হবে তা বলে দেবে সময়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply