চালু হচ্ছে ঢাকা-কলকাতা পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল

|

আবারও চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা-কলকাতা পর্যটকবাহী জাহাজের চলাচল। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসের শেষ নাগাদ যাত্রা করবে ‘এমভি রাজারহাট সি’। ৬ দিনের যাত্রায় ভ্রমণপিপাসুদের জন্য থাকছে আধুনিক সব ব্যবস্থা। যাত্রাপথে দেখা যাবে সুন্দরবনসহ পর্যটন স্পটগুলো। এই ব্যবস্থা পর্যটন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভ্রমণকারীদের যেন ভিসা জটিলতায় পড়তে না হয় সে বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

যাত্রা শুরুর জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুত পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি রাজারহাট সি। এসি, নন এসি, ভিআইপি ও প্রিমিয়াম কেবিনের ব্যবস্থা রয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই ভাড়া শুধুমাত্র ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত। যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩০০ থেকে ৩২০। জাহাজে সবসময় একজন চিকিৎসকও থাকবেন।

এমকে শিপিংয়ের চেয়ারম্যান মাসুম খান বলেন, নৌপথে ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার অনেক চাহিদা রয়েছে। যাওয়ার পথে সুন্দরবনে অবস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই কলকাতায় ২ দিন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে কলকাতা ট্যুরেরও ব্যবস্থা থাকবে।

দেশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই উদ্যোগ, এমনটাই মনে করছেন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম খান। তিনি বলেন, ভারতীয়রা বাংলাদেশে আসার জন্য বিশেষ করে বাংলাদেশের সুন্দরবন দেখার জন্য খুবই আগ্রহী। ফলে এই সুবিধা চালু হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও অর্থনীতিতেও এটি ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালে যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতা যাত্রা করে এমভি মধুমতি। কিন্তু প্রথম ভ্রমণের পরপরই তা বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে ভিসা দেয়া হয়, সেটি সাধারণত বিমান, রেল এবং সড়ক পথের জন্য। ওখানে নৌপথে ভিসা দেয়ার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের সংশ্লিষ্টদের সাথেও কথা হয়েছে। ভারত এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করার জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দিয়েছে।

রিভার ট্যুরিজমকে কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সমৃদ্ধিতে নতুন সংযোজন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply