হাত মেলায়নি লঙ্কানরা

|

দিনভর নানা নাটকের পরে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই হারে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে লঙ্কানরা। ম্যথুসের টাইমড আউট আর শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া, যে কারণেই হোক ম্যাচ শেষে রীতি অনুযায়ী হ্যান্ডশেক করার কথা ছিল দুই দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফদের সবারই।

তবে ম্যাচ শেষে ঘটে ভিন্ন চিত্র। হাত না মিলিয়েই ড্রেসিংরুমে চলে যায় লঙ্কানরা। বোলার থিকসানা ও কিছু কোচিং স্টাফ ছাড়া মাঠে থাকা বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের সাথে শ্রীলঙ্কার কোনো খেলোয়াড়কে হাত মেলাতে দেখা যায়নি। সাকিবরা মাঠে ঢুকলেও ততক্ষণে ড্রেসিংরুমে চলে যায় লঙ্কান খেলোয়াড়রা।

ঘটনার শুরু লঙ্কান ব্যাটিং ইনিংসের ২৪ দশমিক ২ বলের সময় থেকে। বল করছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। ওই বলে আউট হন সামারাবিক্রমা। এরপরই শুরু হয় নাটক! একটি পুরনো হেলমেট নিয়ে মাঠে নামেন ম্যাথুস। তিনি যে হেলমেট নিয়ে নেমেছিলেন, তাতে পুরো নিরাপদ বোধ করেননি। তাই পরে আরেকটি হেলমেট আনা হয়। কিন্তু সেটিও উপযুক্ত মনে করেননি ম্যাথুস।

নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটারকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথুস এই সময়ে প্রস্তুত হতে পারেননি। তাই তাকে টাইমড আউট হতে হয়েছে।

ধারাভাষ্যে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ দল ও অধিনায়কের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আউট দিয়েছেন আম্পায়ার।

এ সময়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব চাইলে বাঁচাতে পারতেন ম্যাথুসকে। ম্যাথুস অবশ্য সাকিবের কাছে অনুরোধও করেছিলেন। তবে জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকা সাকিব ফিরিয়ে দেন তাকে। এতেই নাখোশ হয়ে ফিরে যান এই লঙ্কান অলরাউন্ডার।

এ সময় বেশ বিরক্ত দেখা যায় ম্যাথুসকে। মাঠ থেকে ফেরার পথে ড্রেসিংরুমের সামনে এসে হেলমেটও ছুড়ে মারেন তিনি।

ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী অবশ্য এটি আউট। এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়া বা অবসরের পর যে ব্যাটার আসবেন, তাকে ৩ মিনিটের মধ্যে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অন্যথায় যে ব্যাটার নামছেন, তাকে আউট হতে হবে।

যদিও এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে এই সময় ২ মিনিট। অবশ্য ম্যাথুস অতিক্রম করে গিয়েছিলেন দু’টি নিয়মই।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply