লালমনিরহাটে ইঁদুরের পেটে যাচ্ছে বছরে ১৫শ’ মেট্রিকটন ধান!

|

ছবি: সংগৃহীত

ইঁদুরের উপদ্রবে বিপর্যস্ত অবস্থা লালমনিরহাটের কৃষকদের। নিচু জমিগুলোর ধান খেয়ে সাবাড় করছে ইঁদুর। ওষুধ প্রয়োগ কিংবা প্রাকৃতিক উপয়েও মিলছে না পরিত্রাণ। এতে, পুরো মৌসুমের শ্রম ও অর্থ বিফলে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন চাষীরা। জেলায় প্রতি বছর অন্তত ১৫শ’ মেট্রিকটন ধান ইঁদুর খেয়ে ফেলে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে, ইঁদুর নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে দাবি- কৃষি কর্মকর্তাদের।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, লালমনিরহাটে চলতি মৌসুমে ৮৬ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে কাঙ্ক্ষিত। এরই মধ্যে নিচু জমিগুলোতে দেখা দিয়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। খেয়ে সাবাড় করছে ক্ষেতের ধান। তাই ইঁদুরের উৎপাতে সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।

এ বিষয়ে এক কৃষক বলেন, মাঠে অনেক ইঁদুর। ধান খেয়ে শেষ করে দিলো। গাছসহ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

আরেক কৃষক বলেন, ক্ষেতে থাকার সময় ইঁদুর ধান সাবাড় করছে। আবার ধান কেটে রাখলে সেগুলোও টেনে গর্তে নিয়ে যায়। ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে গেছি আমরা।

ওষুধ প্রয়োগ কিংবা ফাঁদ পেতেও রক্ষা মিলছে না ইঁদুরের অত্যাচার থেকে। কৃষি বিভাগের ইঁদুর নিধন অভিযানেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এ বিষয়ে অভিযোগ করে এক কৃষক বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে আমরা সাহায্য পাই না। কী দিলে ইঁদুর মারা যাবে এমন কোনো তথ্য আমরা পাই না। কষ্ট করে চাষ করার পর শেষ সময়ে এসে ইঁদুর থেকে ফসল বাঁচাতে পারছি না।

কৃষি বিভাগের দাবি, উপদ্রব থামাতে চলতি বছরে জেলায় ৭৫ হাজারেরও বেশি ইঁদুর নিধন করা হয়েছে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সৈয়দা সিফাত জামান বলেন, জেলায় গত ১৬ অক্টোবর ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু করা হয়েছে। ধান রক্ষায় জৈবিক উপায়ে পানি দিয়ে এবং বাঁশ ও লোহার ফাঁদ পেতে ইঁদুর নিধন করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, লালমনিরহাটে প্রতি বছর অন্তত ১৫শ’ মেট্রিকটন ধান ইঁদুর খেয়ে ফেলে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply