শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে বইছে উল্টো হাওয়া। বিশ্বকাপের বাজে পারফরমেন্সের কারণে জায়গা হয়নি ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি। সব মিলিয়ে ঘোর অমানিশায় দেশটির ক্রিকেট।
নজিরবিহীন দুর্নীতিতে একে অপরকে দুষছেন বোর্ডকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা। এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে বিবৃতি দিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছেন লঙ্কান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক প্রমোদ বিক্রমাসিংহে। সীমাহীন দুর্নীতি ও দল গঠনে চরম অনিয়মের কারণে আইসিসি শ্রীলঙ্কার সদস্যপদ স্থগিত করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন তিনি। পাঁচ পৃষ্ঠার বিবৃতিতে ম্যাচ ফিক্সিংসহ ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বিষয়গুলোও উঠে এসেছে তার চিঠিতে।
প্রমোদ বিক্রমাসিংহে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্তরে চলা বহু ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এই দুর্দশা। এসব কারণেই আইসিসি সদস্যপদ স্থগিত করেছে। ষড়যন্ত্রের পেছনে আমি ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করেছি। যারা এসব করছে, তারা খেলা বাঁচানোর ভান করে। আবার অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ষড়যন্ত্র তৈরির আঁতুড়ঘর বলে দাবি করেছেন বিক্রমাসিংহে। আর এসব ষড়যন্ত্র শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে ধ্বংস করার জন্য হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি– ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের পরিকল্পনা সফল করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগও করেছে তারা। এসব ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত পরিণতি হলো নির্বাচক কমিটির পেশাদারিত্বের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করা।
বিশ্বকাপে দল নির্বাচনে ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে হস্তক্ষেপ করতেন বলেও দাবি করেছেন বিক্রমাসিংহে। মন্ত্রীর কারণেই বিশ্বকাপে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দলে নেওয়া যায়নি বলে বিস্ফোরক তথ্য দেন লঙ্কান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক।
/এএম
Leave a reply