ভারতের উত্তর প্রদেশের পর্যটন বিভাগের নতুন এক পুস্তিকায় বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহলকে বাদ দেয়া হয়েছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় আসার ছয় মাস পর এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হলো।
এই পুস্তিকায় রাজ্যের চলতি এবং আসন্ন বেশ কয়েকটি পর্যটন প্রকল্পের কথা ছাড়াও বেশ কিছু বিখ্যাত পর্যটন স্পটের উল্লেখ রয়েছে। এসব স্পটের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ গোরকপুর শহরে যে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, সেই মন্দিরের কথা থাকলেও রাজ্যের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটন স্থাপনা তাজমহলের কোনো উল্লেখই নেই। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
তাজমহল সম্পর্কে যোগী আদিত্যনাথের চিন্তা-ভাবনা খুব স্পষ্ট। জুন মাসে তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে তাজমহলের কোনো সম্পর্ক নেই।
সপ্তদশ শতাব্দীতে তৎকালীন মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার মৃত স্ত্রীর স্মরণে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
এদিকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন স্পট নিয়ে যোগী সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় ও ক্রোধ তৈরি হয়েছে অনেকের মাঝে। সাংবাদিক, রাজনীতিক এবং সাধারণ মানুষের অনেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ নিয়ে ১২ হাজার টুইট হয়েছে।
প্রেরণা বক্সি নামে একজন টুইটারে লিখেছেন, “তাজমহল এখন আর পর্যটন গন্তব্য নয়। ইউনেস্কোর এখন উচিৎ গোরকপুরে যোগী আদিত্যনাথের গোশালাকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে ঘোষণা করা।”
ধ্রুব রথি নামে আরেকজন লিখেছেন, “যোগী সরকার আমাদের দেশের ঐতিহ্যকে অসম্মান করেছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এ নিয়ে এখন পরিহাস চলবে।”
মাধু পূর্ণিমা কিশওয়ার নামে একজন লিখেছেন, “তাজমহল নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের এই বিতর্ক তৈরি করা নিতান্তই আহাম্মকি।” চাপে পড়ে উত্তর প্রদেশ রাজ্য পর্যটন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই পুস্তিকাটি উত্তর প্রদেশের পর্যটনের কোনো গাইড হিসাবে ছাপা হয়নি।
Leave a reply