মামুনুর রশিদ অভি:
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে দেশের প্রথম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। প্রযুক্তি খাতের বড় কোনো প্রতিষ্ঠান না আসায় যে লক্ষ্য নিয়ে এটি স্থাপন করা হয়েছে সেটি পূরণ হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝেও রয়েছে হতাশার ছাপ।
ইনকিউবেটরটি উদ্বোধন হয় গত বছরের জুলাইয়ে। এ জন্য ব্যয় হয় ১১৭ কোটি টাকা। উদ্বোধনের পর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে ৪ দশমিক ৭ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত সুরম্য ভবন, কম্পিউটার এবং ডরমিটরি। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ও ব্যবসায় দক্ষ করা, শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য থাকলেও তা আর হয়ে উঠেনি।
ইনকিউবেটরে ১২টি প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ থাকলেও শুরু করেনি কেউই। ২৭টি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বল্প পরিসরে কাজ করছে মাত্র ১২টি প্রতিষ্ঠান।
তবে, কর্তৃপক্ষের দাবি দেশে ইনকিউবেটরের ধারণার সাথে এখনও অনেকে পরিচিত নন। এছাড়া নির্মাণকারী হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে ইউজিসি এবং চুয়েটের সমন্বয়হীনতাও অন্যতম কারণ।
এ ব্যাপারে ডিলিজিট লিমিটেডের সিইও মোশাররফ হোসেন জানান, যাতায়াত ব্যাবস্থার সংকটের জন্য এক বছরের মধ্যে কার্যক্রম ঠিকভাবে শুরু করতে পারেননি তারা।
টর্ক ইঞ্চের কো-ফাউন্ডার শাহ আলম শুভ্র বলেন, বড় কোম্পানিগুলো যদি তাদের সার্ভার স্টেশন বা রিসার্চ হাব হিসেবে ইনকিউবেটরটিকে ব্যবহার করতে পারে তাহলে এটি বড় সুফল বয়ে আনবে।
এ ব্যাপারে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক মশিউল হক বলেন, সময়ের সাথে সাথে কার্যক্রম ধীরগতিতে শুরু হচ্ছে। কিছু কিছু কোম্পানি স্বল্প পরিসরে আয়ও করছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে অল্প কিছু সফলতার গল্প আছে বলেও জানান তিনি।
এএস/
Leave a reply