ইসরায়েলের সাথে হামাসের অস্ত্রবিরতিকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। সংঘাত বন্ধ, ত্রাণ সরবরাহ এবং বন্দি মুক্তির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। হামাসের হাতে জিম্মি থাকা সব বন্দির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন। অন্যদিকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধপরাধ তদন্তের জোর দাবি তুরস্কের। খবর আল জাজিরার।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি সমঝোতার পর চলছে নানা আলোচনা। দু’পক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি চীন-তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, সীমিত পরিসরে অস্ত্রবিরতি এবং বন্দি মুক্তির যে সমঝোতা হয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আমাদের আহ্বান, দু’পক্ষই যেন স্থায়ী সমঝোতায় রাজি হয়। কারণ গাজার বেসামরিক নাগরিকরা অবর্ননীয় দুর্দশায় রয়েছেন।
এদিকে, অস্ত্রবিরতি হলেও গাজায় চালানো ইসরায়েলি বর্বরতার বিষয়টিকেও সামনে আনা হচ্ছে। যুদ্ধপরাধ ইস্যুতে তেলআবিবকে মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেক নেতা। এর মধ্যে আছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানও। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি স্থায়ী সিদ্ধান্তে পরিণত হবে। গাজায় যা হয়েছে তা যুদ্ধাপরাধের সামিল। সেটারও বিচার হওয়া প্রয়োজন।
সমঝোতা ইস্যুকে স্বাগত জানালেও, শঙ্কা রয়েছে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে। হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পশ্চিমা নাগরিক। যেকোনো উপায়ে এসব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, সংঘাত বন্ধে এই সমঝোতা অসাধারণ একটি উদ্যোগ। এই চুক্তিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে কাতার। তাদের প্রচেষ্টার জন্যও সাধুবাদ জানাই। তবে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিতে আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমরা চাই হামাসের হাতে যেসব ব্রিটিশ বন্দি রয়েছেন তাদের দ্রুত মুক্তি।
এর পাশাপাশি সাময়িক এই অস্ত্রবিরতি যাতে ভেস্তে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
এসজেড/
Leave a reply