নৌকা ফিরে পেলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক

|

জাহাঙ্গীর কবির নানকের সেই কান্না আজও ভুলার কথা নয় রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবরের বাসিন্দারের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন হারিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

চব্বিশের ভোটে তাকে একই পথে হাঁটতে হলো না। ফিরে পেলেন নৌকা প্রতীক। তাতে হাসি ফিরে পেলেন তার কর্মীরা। নানকের পাশাপাশি তার কর্মীরাও কেঁদেছিলেন সেদিন। কর্মীরা তার গাড়ি আটকে রেখে সে সময় অঝোরে কান্না করেন। নানকসহ তাদের এই কান্না সাধারণ মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।

যার কাছে মনোনয়ন হারিয়েছিলেন, সেই সাদেক খানকে পাশে রেখে তখন নানক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিতে মাঠে থাকবেন। একইসঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মোহাম্মদপুর-আদাবরের মানুষের পাশে থাকার। নানক সে সময় দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার বিজয়ে কাজ করেন। আর তাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করে দলটি।

তবে, সাদেক খান নির্বাচিত হলে মোহাম্মদপুর-আদাবর নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসনে বলয় গড়ে তুলেন নানক বিরোধীরা। নানকের ঘণিষ্ঠরা কোনঠাসা হয়ে পড়েন। সাদেক খান এমপি হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় গ্রেফতার হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের (মোহাম্মদপুর) কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব গ্রেফতার হন। যিনি নানকের বেশ ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত। পরে সিটি নির্বাচনেও সাদেক খান বলয়ের কমিশনার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন।

যদিও নানক, আবদুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ শীর্ষ নেতাকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারণ হিসেবে ওবায়দুল কাদের সে সময় বলেছিলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ যে নেতৃত্ব, তারা সাধারণত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেন। কিন্তু এবার আমাদের নেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের বিজেপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের মতো নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রেখেছেন।

সংসদে যেতে না পারলেও দলের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে নানক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নানক। আর পুনরায় নিজেকে ফিরিয়ে আনলেন নৌকার মাঝি হিসেবে। ঢাকা-১৩ আসনের পাশাপাশি বরিশাল-৫ আসনেও মনোনয়ন কিনেছিলেন এই নেতা। তবে তার পুরনো আসন ঢাকা তোরো-ই ফেরত পেলেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দলটি। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আপাতত প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এই দুই আসনে পরে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান।

আরও পড়ুন: চব্বিশের ভোটে নৌকা বইবেন যারা

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply