ভারতের নির্মাণাধীন টানেলে ৪০০ ঘণ্টা; অবশেষে জীবিত উদ্ধার ৪১ শ্রমিক

|

১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে অবশেষে মিলেছে সাফল্য। নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেলে আটকা পড়া শ্রমিকদের। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছায় উদ্ধারকর্মীরা। এরপর একে একে বের করে আনা হয় ৪১ শ্রমিককে। খবর এনডিটিভির।

এদিকে, উদ্ধারের সময়ে ঘটনাস্থলেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। জীবিত উদ্ধারের পরে শ্রমিকদের স্বাগত জানান তিনি।

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হওয়া ৪১ শ্রমিকের জন্য আগে থেকেই রাখা ছিল ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স। সেগুলোতে করেই তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দূর থেকে এ দৃশ্য দেখেছেন স্বজনরা। এ সময় খুশিতে উদযাপনও করেছে তারা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, নির্মাণাধীন টানেলে শেষ পর্যন্ত ‘র‍্যাট হোল মাইনিং’ কৌশলে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে অনেক উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেও শ্রমিকদের উদ্ধার প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ৬০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শ্রমিকদের পর্যন্ত পৌঁছানো ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ধসে পড়ার আশঙ্কায় আগের প্রচেষ্টাগুলো শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল।

গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে চার কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের দু’শ মিটার ভেতর আটকা পরেন সেখানেই কর্মরত এই শ্রমিকরা। এরপর থেকে একদিকে চলে উদ্ধারকাজ, অন্যদিকে শ্রমিকদের জীবিত রাখার চেষ্টা। এতদিন পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে অক্সিজেন, খাবার ও পানির মতো জরুরি উপাদান।

তবে বিভিন্ন উপায়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গেছেন দায়িত্বরতরা। একটি পদ্ধতি ব্যর্থ হলে অন্য পদ্ধতিতে এগিয়েছে কাজ। অত্যাধুনিক মার্কিন অগার মেশিনেও করা হয় খোঁড়াখুঁড়ি। তবে সাফল্যের কাছাকাছি গিয়ে মেশিন বিকল হওয়ায় ঘটে বিপত্তি। এরপর উদ্ধারকাজে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। শুরু হয় হাত দিয়েই ‘র‍্যাট হোল মাইনিং’ পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ। আর তাতেই অবশেষে দেখা মিলেছে এই অভাবনীয় সাফল্যের।
/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply