সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো ‘একতরফা’ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে দলগুলোর নেতারা যৌথসভা করে। সভা শেষে জানানো হয়, তারা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ সময় নেতারা বলেন, আমাদের একদফা দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই গণদাবিকে উপেক্ষা করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে সরকার। আর এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
তারা আরও বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল আজ (৩০ নভেম্বর)। জনগণের ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া নির্বাচনের তফসিলকে আমরা প্রত্যাখান করছি। একইসঙ্গে তফসিল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (একাংশ) মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম।
এছাড়া বাংলাদেশ লেবার পার্টি, গণদল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ন্যাপ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), বাংলাদেশ জাতীয় দল, ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), এবি পার্টি, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), ভাসানী অনুসারী পরিষদ, এডিপি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও ডিএলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
/এনকে/এমএন
Leave a reply