সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা:
চা বাগানের শ্রমিকরা ঠিক যেভাবে পিঠের দিকে ঝুড়ি ঝুলিয়ে চা তোলেন, সেভাবেই বাগানে গিয়ে চা পাতা তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দার্জিলিং এর কার্শিয়াং মহকুমার মকাইবাড়ি চা বাগানে দেখা গেছে এ দৃশ্য।
পারিবারিক অনুষ্ঠান ও সরকারি কর্মসূচির কারণে ৭ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক ব্যানার্জির ছেলে আবেশের বিয়ে থাকলেও বিয়ের অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। তবে বিয়ের পর মমতার আশীর্বাদ নিতে আসার কথা রয়েছে নবদম্পতির।
বৃহস্পতিবার সকালে জনসংযোগ কর্মসূচি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরে চা পাতা তোলার পাশাপাশি চায়ের কাপে চুমুক দিতেও দেখা গেছে তাকে।
এ সময়, সুযোগ সুবিধার বিষয়ে বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন মমতা। সবুজে ঘেরা চা বাগানের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে নিজস্ব ভাষায় গান গেয়েও শোনান চা বাগানের শ্রমিকরা।
মমতা বলেন, পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে ঐক্যের বাঁধন তৈরি হয়েছে। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করব। আমি কিন্তু মুখে বলি না। আমি রক্তের সম্পর্ক দিয়ে করে দেখাই। আমি খুব খুশি আজ। চা বাগান ভাল থাকুক, চা শ্রমিকরা ভাল থাকুক।
জেলা সফরে গিয়ে সেখানকার মানুষ, এলাকাবাসীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মিশে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। দার্জিলিং সফরেও অতীতে মমতার ভিন্ন ধর্মী জনসংযোগের ঘটনায় বার বারই উঠে এসেছে এমন ঘটনা। এর আগে দার্জিলিং গিয়ে রীতিমতো আলু-মটর দিয়ে ফুচকা বানিয়েছিলেন মমতা।
শুধু কি তাই! ফুচকার পর মোমোও বানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একটি দোকানে ঢুকে বেঞ্চে বসে চাকি-বেলনা হাতে ময়দা বেলেন। তারপর লেচি কেটে, তার মধ্যে পুর দিয়ে মুড়ে মোমোও বানান।
মুখ্যমন্ত্রীর এই জনসংযোগ বার বার নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়ংয়ে একযোগে গণবণ্টন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মমতা। তারপর শনিবার (৯ ডিসেম্বর) হেলিকপ্টারে আলিপুরদুয়ার পৌঁছে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রবিবার (১০ ডিসেম্বর) আলিপুরদুয়ারে গণবণ্টন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি।
/এমএইচ
Leave a reply