সাইফুদ্দিন রবিন:
ভোটের আগে জাতীয় পার্টি বা ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে শরিকদের সাথে আওয়ামী লীগের আসন ‘সমঝোতার’ বিষয়টি এখন আলোচনায়। যদিও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো ঘোষণা আসেনি। আসন সমঝোতার এই বিষয় আমলে নিচ্ছে না হালের আলোচিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম।
অবশ্য দুই দলেরই ৩শ’ আসনে প্রার্থী নেই। দল দুটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, এককভাবে নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠ শান্তিপূর্ণ না থাকলে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। কিংস পার্টি খ্যাত দল দু’টির আপত্তি আছে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী নিয়েও।
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, জাতীয় পার্টি তো আ. লীগের মন্ত্রিসভায় ছিল। ১৪ দলও তাদের সঙ্গে মন্ত্রিসভায় ছিল। আমরা আগে থেকেই বলছি, নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে ভোটে অংশ নিচ্ছি। আমরা বিরোধী দলেই থাকতে চাই।
বিএনএমের মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান বলেন, কোনো আসনে হয়তো আ. লীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। কোনো আসনে হয়তো জাতীয় পার্টির প্রার্থী তার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। আবার কোনো আসনে নৌকার প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে। এটা তাদের কৌশল। তবে, তাদের সাথে আমাদের কোনো চুক্তি বা বোঝাপড়া নেই।
আসন সমঝোতা হলো কি হলো না, তা নিয়ে গুরুত্ব দিতে চান না বিএনএম মহসচিব। তার মতে, বরং প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীরা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বিএনএমের ক্ষমতায় আসার লড়াইয়ে। তাই গ্যারান্টি চান, সুষ্ঠু নির্বাচনের।
ড. মো. শাহজাহান বলেন, ভোটের মাঠে যদি তাদের ৪-৫ জন প্রার্থী থাকে, তাহলে তারা তো ‘ডমিনেট’ করবে। এসব প্রার্থী উঠে গেলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, আমি তা-ও বলছি না। তারা (ডামি প্রার্থী) সরে গেলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিষয় রয়েছে। আমরা একটা কথা বারবার বলছি, অপেক্ষা করা। একটা সময় আমাদেরও উঠে আসতে হতে পারে, যদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এদিকে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল বিএনপির কোনও শঙ্কা না থাকলেও দলটির প্রত্যাশা, শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলে যাওয়ার মতো প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে তুলবেন তারা।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের ওপর আস্থা রেখেছি। তিনি জাতি ও নিজ দলের প্রতি অঙ্গীকার করেছেন, ভোট সুষ্ঠু করার। এর ব্যত্যয় হলে সেটির দায়ভার তো উনার ওপর পড়বে।
এদিকে, তৃণমূল বিএনপির দেড় শতাধিক মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও আপিলে আরও কিছু প্রার্থিতা ফিরে পেতে আশাবাদী দলটি। অন্যদিকে, ১০২ জন বিএনএমের হয়ে এই নির্বাচনে লড়ছে। আছে আরও প্রায় ২০ জনের মতো ‘গোপন’ প্রার্থী। যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও বিএনএমের বলে দাবি করেন দলটির নেতারা।
/এমএন
Leave a reply