জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করা যুক্তরাষ্ট্র পাশে পায়নি কাউকে। এমনকি, মিত্র হিসেবে পরিচিত ফ্রান্স, জাপানও যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। আগ্রাসনের শুরুতে যেসব দেশ মার্কিন প্রশাসনের সাথে সুর মিলিয়ে ইসরায়েলকে ঢালাও সমর্থন দিয়েছিলো, তারাও এখন নেতানিয়াহুকে থামাতে চান। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থন দিয়ে একা হয়ে পড়ছে ওয়াশিংটন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সমর্থন পাচ্ছে ইসরায়েল। আত্মরক্ষার অধিকারের দোহাই দিয়ে পশ্চিমা বেশিরভাগ দেশও অবস্থান নিয়েছিল ইহুদী আগ্রাসনের পক্ষে।
তবে, দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও গাজা উপত্যকায় বন্ধ হয়নি নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ। ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে নিজ দেশেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পশ্চিমা নেতাদের।
অন্যদিকে, ক্রমেই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন নেতানিয়াহু। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন যুদ্ধবিরতির পক্ষে বাড়ছে সমর্থন। পশ্চিমা অনেক দেশ যারা আগে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছিল তারাও এখন নেতানিয়াহুকে থামতে বলছেন
সবশেষ, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেয় ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ দেশ। একমাত্র বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও, ভেটো ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের বাধায় পাস হয়নি প্রস্তাবটি। তবে অনেকেই বলছেন, গাজা ইস্যুতে এখন অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন বাইডেন, যার স্পষ্ট প্রমাণ এই ফলাফল।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে বৈঠকে আরব লীগ ও ওআইসির প্রতিনিধিদের অবস্থান ছিলো স্পষ্ট, ইসরায়েলকে নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করতে হবে। আমেরিকা এখন এই ইস্যুতে পুরোপুরি একা, যা জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত ভোটেও প্রমাণ হয়েছে। ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আমেরিকা এখন অসহায় হয়ে গেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সাথে উত্তেজনা, ইরানের সাথে বৈরিতা, কোরীয় উপদ্বীপে লাগাতার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। শত্রুপক্ষরাও একজোট হয়ে বাড়াচ্ছে পারস্পারিক সম্পর্ক। বলা হচ্ছে, গেল কয়েক দশক বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা যুক্তরাষ্ট্র এবার বেশ চাপেই পড়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply