রংপুর-১ আসনটি জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসনটিতে স্বাধীনতার পর থেকে ১১টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৮টিতেই জয় লাভ করেছে দলটি। বাকি তিনটির মধ্যে একবার আওয়ামী লীগ ও দুই বার বিএনপি জয়লাভ করে আসনটিতে।
আসনটিতে জাতীয় পার্টির ভোটের ব্যবধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। দলটির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়াও তার ভাজিতা মকবুল শাহরিয়ার আসিফও এই আসনের এমপি ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আসনটিতে লাঙ্গল ও নৌকা প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আধিক্য রয়েছে। এবার আসনটিতে লাঙলের প্রার্থী মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। এছাড়াও আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলটির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা। দুইজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বলেন, আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমি এই এলাকার এমপি হিসেবে ছিলাম। সবকিছু বিবেচনা করে দল মনে করেছে আমাকে মনোনয়ন দিলে এই আসনটি দলের জন্য আনতে সুবিধা হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তনান সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, সবাই মিলে আমাকে অনুমতি দিয়েছে, তাই আমি নির্বাচন করতে এসেছি। আমি দুইবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলাম।
এদিকে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আসনটিতে একমাত্র জয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার আসনটিতে রেজাউল করিম রাজু দলীয় মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন নৌকার প্রতীকে নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু ও লন্ডন প্রবাসি ব্যারিস্টার মনজুম আলী।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু বলেন, যারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী, তারা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করবে এটা আমি মনে করি না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, আমি গতবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করে বিভিন্ন কারণে জয়ী হতে পারিনি। এবার অনেক প্রার্থীই মাঠে আছে। মানুষ প্রমাণ করবে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার মনজুম আলী বলেন, মাঠ পর্যায়ে আমাদের অনেক নেতা রয়েছে, যাদের যোগ্যতা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সুযোগটি দিয়েছে, কারণ তিনি চাচ্ছেন এরা উঠে আসুক।
এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) মহানগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, প্রতীকের পাশাপাশি ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে স্থানীয় প্রার্থীর ইস্যুটি।
উল্লেখ্য, এবার ভোটের লড়াইয়ে রংপুর-১ আসনটিতে মোট ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৬ জন।
আরএইচ/এটিএম
Leave a reply