নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার, কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কৃষি ও বাজার মনিটরিংসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন করার অঙ্গীকার থাকছে তাদের ইশতেহারে। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতেও। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের রূপরেখা থাকছে জাতীয় পার্টির এবারের ইশতেহারে।
তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে। কাকে ভোট দেবে, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দলগুলোয় কতটা থাকছে, সে হিসেব নিকেশও চলছে। জাতীয় পার্টির এবারের ইশতেহার জনগণের মৌলিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। তারা বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠনের লক্ষ্যে তৎপর জাতীয় পার্টি।
প্রতীক বরাদ্দের পর ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে দলটি। প্রাদেশিক সরকার, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার, গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের কথা থাকছে ইশতেহারে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে কর্মমুখী শিক্ষা প্রণয়নের কথা জানান নেতারা।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদার ওপরই এবারের ইশতেহারে আমরা জোর দিচ্ছি। কর্মসংস্থান, বেকারত্ব দূর করা এবং উপজেলা ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ রূপ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো। এছাড়া ঢাকা শহর এখন বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আমরা এটিকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ক্ষমতাটিকে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে দেবো।
কৃষি খাতে সর্বোচ্চ ভর্তুকি প্রদান, সহজলভ্য ব্যাংক ঋণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেও থাকছে রূপরেখা। চুন্নু বলেন, আমাদের বাজারে মৌসুমী ফসলগুলো সংরক্ষণে পর্যাপ্ত হিমাগার বা প্রক্রিয়া এখনও গড়ে ওঠেনি। সেই ব্যবস্থা করো। সেই সাথে নজর থাকবে বাজার মনিটরিংয়েও।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ইশতেহার শতভাগ কৃষিবান্ধব। এই দেশে প্রথম বিনামূল্যে সারের ব্যবস্থা ও ভর্তুকি আমরা চালু করেছিলাম, সেটি চালু আছে। আমরা এই ভর্তুকি বিভিন্ন খাতে বাড়াবো। সেই সাথে হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মতো পরিস্থিতি যাতে আর তৈরি না হয় সেদিকেও আমাদের জোর থাকবে।
জাতীয় পার্টির এবারের ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন করার কথাও সংযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। সেই সাথে আছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিকল্পনাও। বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সৌরবিদ্যুতের দিকেও জোর দেয়া হবে ইশতেহারে।
নারীর অধিকার রক্ষা ও নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে জাতীয় পার্টি। আধুনিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। ক্ষতায় গেলে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা ও তাদের চাহিদা পূরণে সফল হবে বলেও প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।
এসজেড/
Leave a reply