পণ্য রফতানি হলেও, দেশে আসেনি ৯২৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ অর্থ দেশে আসলে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট অনেকটাই কেটে যেতো। রফতানির আড়ালে অর্থ পাচারকারীদের শাস্তি দাবি করছেন বিশ্লেষকরা। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, ইপিবির সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গড়মিলের যে তথ্য দেয়া হচ্ছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। উদ্যোক্তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই, এমন তথ্য দেয়া হচ্ছে।
গেল অর্থবছরে মোট রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলারের পণ্য। এ সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে এসেছে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি ডলার। তার মানে পণ্য রফতানি হলেও ৯২৪ কোটি ডলারের অর্থ দেশে আসেনি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে এ গড়মিল ধরা পড়েছে। ব্যবসায়িরা অনেক ক্ষেত্রে রফতানির মূল্য পরিশোধে ক্রেতাদের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ আছে।
উদ্যোক্তাদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রফতানি মূল্য দেশে আনার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি হলে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট অনেটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলেও মনে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ইপিবির সাথে আমাদের কিছু ইস্যু আছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ক্রেতারাও ডেফার্ডে চলে যায়। যদি সময় মতো পেমেন্ট আসে তাহলে, ফরেন একচেঞ্জের অ্যাভেইলিবিলিটি আরও বেড়ে যায়।
সরকারি সংস্থার মধ্যে রফতানি তথ্যের গড়মিল দুঃখজনক বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যে সব ব্যবসায়ীরা রফতানির অর্থ সময়মতো দেশে আনছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এনবিআরের সাবেক সদস্য আলী আহমেদ বলেন, কাস্টমস ও ইপিবি হিসেব রাখে যে কত যাচ্ছে। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা গ্রহণ করে। সবই তো সরকারি প্রতিষ্ঠান। একটার সাথে আরেকটার গড়মিল কেন হবে? যারা খুব দুর্বৃত্ত টাইপের, রফতানিকারকদের মধ্যে তারা অজান্তেই এই টাকা রেখে দেয়। এই টাকার অপব্যবহার হয়।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলছেন, রফতানির অর্থ দিয়েই শ্রমিকের বেতন এবং ব্যাংকের দায় পরিশোধ করা হয়। সুতরাং রফতারি মূল্য দেশে না আনার কোনো সুযোগ নেই। বাইরে টাকা রাখার অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীদের ভিলেন বানানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য তার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো বাহবা নিতেই রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দেখাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
এটিএম/
Leave a reply