লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে ইরানের হাত রয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের দাবি, সশস্ত্র এই গোষ্ঠীকে সামরিকভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে তেহরান। তবে এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছে তেহরান। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কোনোভাবেই হুতিদের ইন্ধন দেয়নি দেশটি। খবর আল জাজিরার।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহ এ নিয়ে কথা বলেন। তিনি, লোহিত সাগরে কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় হুতিদের। তারা নিজেরাই অভিযান পরিচালনা করছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও নিন্দা জানান তিনি। গাজার মানবিক বিপর্যয়ের জন্য ওয়াশিংটনকেই দায়ী করেন। শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ সঠিক নয় বলেও জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, লোহিত সাগরে জোট গঠনের আগে যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত।
হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহ আরও বলেন, নিজেদের অবস্থান থেকে হুতিরা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথাটি যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট জানিয়েছি। আমরা কখনও তাদের কিছু করার জন্য নির্দেশ দেইনি। আবার কোনো পদক্ষেপ বন্ধের জন্যও বলবো না। আঞ্চলিক নিরাপত্তা আমাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাই না। লোহিত সাগরে কথিত জোট গঠন সমস্যার সমাধান নয়। বরং গাজা ও পশ্চিম তীরে নারী-শিশুসহ বেসামরিক রক্তপাত বন্ধ করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা নথি উপস্থাপন করা হয় হোয়াইট হাউজে। সেখানে দাবি করা হয়, ইরানের ‘কেএএস জিরো-ফোর’ ড্রোনের সাথে হুতিদের ব্যবহৃত মানুষবিহীন যানের বৈশিষ্টের ব্যাপক মিল পাওয়া গেছে। হুতি ও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ সাদৃশ্যও রয়েছে বলে দাবি করছে হোয়াইট হাউজ।
বলা হয়, ইয়েমেনি এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে ইরান। তাদের সহযোগিতাতেই লোহিত সাগরে এই হামলা করতে পেরেছে হুতি। তবে মার্কিন এ দাবিকে সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইরান।
এসজেড/
Leave a reply