ভোর হলেই খেজুর বাগানে ভিড়, বেশিরভাগই নিপাহ ভাইরাসের ব্যাপারে উদাসীন

|

ঠাকুরগাঁও করেসপন্ডেন্ট:

শীতের আমেজ মানেই যেন খেঁজুরের রস খাওয়া। তাই ভোরের আলো ফোটার আগেই বাগানে ছুটে যান অনেকে। কিন্তু খেঁজুরের কাঁচা রস থেকে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, এটি এখন কমবেশি সবাই জানেন। এ নিয়ে প্রশাসন থেকে সতর্ক করা হচ্ছে বারবার।

কিন্তু তা নিয়ে উদাসীন অনেকে। এমন চিত্রের দেখা মেলে ঠাকুগাঁওয়ের নারগুন বোচাপুকুর এলাকায়। ভোরেই খেঁজুরের রস খেতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছের অনেকে। কেউ কেউ তা বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছে। তাতে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

এই এলাকারই এক বাগানে খেজুর গাছ রয়েছে অন্তত সাতশ। এরমধ্যে মাত্র দু’চারটি গাছে নেট ব্যবহার করে রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। কাঁচা এই রস পানে রয়েছে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। বিষয়টি জেনেও খেঁজুরের রস ও গুড় খেতে আসার কথা বলেছেন কেউ কেউ।

বাগানটিতে প্রতি লিটার রস বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড়শ টাকায়। লাভও হচ্ছে ভালোই। তবে নিপাহ ভাইরাসের বিষয়ে বাগানীরা বলছেন, তারা গাছে নেট লাগিয়েছেন। গাছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেন মানুষ নিরাপদে খেঁজুর ও গুড় খেতে পারেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কড়া বার্তা দিয়েছেন সিভিল সার্জন। নিষেধাজ্ঞা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি প্রশাসনের।

ঠাকুরগাঁও সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, যারা গাছের মালিক ও গাছ কাটেন, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। তারা যেন গাছকে নিরাপদ রাখেন এবং বাঁদুড় যেন কোনোভাবেই সেখানে বসে খেঁজুরের রসটাকে দূষিত করতে না পারে।

ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ জানান, তারা এখন পর্যন্ত কোনো রোগী পাননি। সবাইকে সচেতন করবেন। চিকিৎসার চেয়ে জনসচেতনতার মাধ্যমে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধের কথাই বললেন তিনি।

বোচাপুকুরের বাগানটি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮শ’ লিটার রস আহরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাগানীরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply