সাদিক-শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে, শামীম হকের শুনানি এক সপ্তাহ পর: আপিল বিভাগ

|

আপিল বিভাগেও প্রার্থিতা বাতিল থাকলো বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহ এবং বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের। ফলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তারা। অন্যদিকে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে শুনানির জন্য এক সপ্তাহ দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন আসনটির নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। পরে ইসি তার প্রার্থিতা বাতিল করে। তবে হাইকোর্টে রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পর জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে ফের প্রার্থিতা আটকে যায় সাদিক আব্দুল্লাহর। তবে ভোটে ফিরতে সাদিকও চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। যেটি শুনানি শেষে আজ রায় দিলেন আদালত। তবে এবারও প্রার্থিতা পাননি তিনি।

এছাড়া দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন প্রথমে বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও লাভ হয়নি তার। এরপর চেম্বার আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। ভোটের মাঠে থাকতে সবশেষ লিভ টু আপিল করেছেন শাম্মী। যেটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

শামীম হকের বিরুদ্ধেও রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ। ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল ইসি। এর জেরে রিট করেন শামীম। যদিও সেটি খারিজ করে দেন আদালত। এরপর চেম্বার আদালতের নির্দেশে আবার ভোটের মাঠে ফেরেন আওয়ামী লীগের এই শামীম। পরবর্তীতে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারবেন কি-না এমন ৯ জনের বিষয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সর্বোচ্চ আদালত।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply