মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে তুরস্কে ব্যাপক অভিযান

|

তুর্কি কর্তৃপক্ষ মোসাদের সন্দেহভাজন তথ্যদাতাদের গ্রেপ্তার করেছে। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল।

বিভিন্ন দেশে গুপ্তহত্যা চালিয়ে হামাস নির্মূলের ছক কষছে ইসরায়েল? তুরস্কে তেলআবিবের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৩৩ জন আটক হওয়ার ঘটনায় উঠেছে এমন প্রশ্ন। আটকদের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারির অভিযোগ তোলা হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার তুরস্কের আটটি প্রদেশে অভিযান চালিয়েছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং কাউন্টার টেরোরিজ্যম ব্যুরো। একযোগে ৫৭টি স্থান থেকে আটক করা হয় কয়েক ডজন ব্যক্তিকে। যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ধরপাকড়ের ভিডিও প্রকাশ করেন তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার দাবি, এসব গুপ্তচরের মাধ্যমে তুরস্কে থাকা বিদেশিদের ওপর নজরদারি করছিলো তেলআবিব। পাশাপাশি ছিলো হামলা ও অপহরণের পরিকল্পনাও।

তুরস্কে কার্যালয় রয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাতার, তুরস্ক, লেবাননসহ কয়েকটি দেশ থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে, মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যুদ্ধ শেষে বিভিন্ন দেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। সেসময় ফাঁস হয় হামাস নেতাদের হত্যা ইস্যুতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা প্রধানের চাঞ্চল্যকর এক অডিওবার্তাও। এসব ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। যার ধারাবাহিকতায় তুরস্কজুড়ে চলছে অভিযান।

তবে গুপ্তহত্যা ইসরায়েলের জন্য নতুন কিছু নয়। অবৈধ দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন দেশে গিয়ে শত্রু হত্যার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে। মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরাই তাদের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছে বেশি। হুমকি মনে হওয়ায় জার্মানি, কানাডার মতো বন্ধু দেশের নাগরিকদেরও ছাড় দেয়নি ইহুদি রাষ্ট্রটি।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply