শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, চাইলেন নৌকার জয়

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফে তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এই ঘোষণা দেন।

সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে ‘পরিস্থিতি’কে উল্লেখ করেন নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। বিষয়টি খোলাসাও করেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান। জানান, তার দল ১৪ দলীয় জোটের শরিক। এই জোটের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে তার আসনটি তরিকত ফেডারেশনকে ছেড়ে দেয়। সে হিসেবে নৌকা নিয়ে তিনি নির্বাচন করেন। আর দুইবারই জয়লাভ করেন। তবে, এবার ১৪ দলীয় জোটের জন্য ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তার মধ্যে নেই চট্টগ্রাম-২। এই আসনে নৌকা নিয়ে ভোটে রয়েছেন আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার।

এমন পরিস্থিতে ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের অনুরোধে ভোটে লড়বেন না নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। আর আজ থেকে ফটিকছড়িতে তার প্রচার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, আগেও তিনি নৌকার পক্ষে ছিলেন, এবারও রয়েছেন। তাই নৌকার বিজয় চান। তিনি যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে ভোটের মাঠে সমীকরণ অন্যরকম হবে।

উল্লেখ্য, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এ পর্যন্ত চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমবার ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে চট্টগ্রাম-৪ আসনে জয়ী হন তিনি। ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একই আসনে জয়লাভ করেন।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে চট্টগ্রাম-২ আসনে লড়েন নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। সেই ভোটে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের কাছে হেরে যান তিনি। রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ারই এবার তাকে হটিয়ে নৌকা নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।

নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ২০০৫ সালে বিএনপি ছেড়ে তরিকত ফেডারেশন গঠন করেন। আর নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। ২০০৮ সালের ভোটে তিনি ও তার দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন আসনে দাঁড়ালেও জয়ী হতে পারেনি।

পরের দুই নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক হিসেবে নির্বাচনী বৈতরণী পার করেন এই প্রার্থী। আর এবার সেই সমর্থন না পেয়ে তার দলের প্রতীক ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু ভোটের দুই দিন আগেই দিলেন সরে যাওয়ার ঘোষণা। তবে জানিয়েছেন, তিনি নিজে সরে গেলেও বাকি ৪১ আসনে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থীরা ভোটে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, এই আসনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারী। তিনি তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের ভাতিজা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply