এবারও মন্ত্রী হলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সিরাজুল হকের ছেলে আনিসুল হক

|

মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

এবারও মন্ত্রী হলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অ্যাড. সিরাজুল হকের ছেলে অ্যাড. আনিসুল হক। তিনি ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের টানা তিনবারের জাতীয় সংসদ সদস্য ও সরকারের পরপর দুইবারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি সিরাজুল হক ও জাহানারা হকের সন্তান আনিসুল হক। তার গ্রামের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে।

জানা যায়, ১৯৫৬ সালের ৩০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন আনিসুল হক। তার পিতা অ্যাড. সিরাজুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আস্থাভাজন। শিক্ষা জীবনে আনিসুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করেন। এরপর আনিসুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন এবং মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে এলএলএম সম্পন্ন করেন।

আনিসুল হক ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা জেলা বারে এবং ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে নথিভুক্ত হন। ২০০১ সালে আপিল বিভাগে নথিভুক্ত হন। এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হন।

বাবা সিরাজুল হকের মৃত্যুর পর আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার প্রধান বিশেষ কৌঁসুলি হন। তার আইনজীবীর অধীনেই শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয় এবং এদেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় প্রদান করেন।

আনিসুল হক বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কৌঁসুলি ও বিশেষ প্রসিকিউটরও ছিলেন। তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার প্রধান প্রসিকিউটরও ছিলেন, যা ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের বিদ্রোহ সংক্রান্ত একটি মামলা। এই মামলাটিও তার নেতৃত্বে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আবারও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে আনিসুল হক ১৯৮৭ সালে ১৮ ডিসেম্বর নূর আমতুল্লাহ রিনা হকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারী স্ত্রী রিনা হক সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন। পরে আর কোনো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি তিনি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply