যমুনা নিউ মিডিয়া ডেস্ক:
লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের বড় হামলা মোকাবেলায় ইয়েমেনে আগ্রাসন শুরু করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার রাতভর চলে একেরপর হামলা। ইয়েমেনের ভূখণ্ডে মার্কিন জোটের হামলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে এবার প্রশ্ন উঠেছে এ হামলার বৈধতা নিয়ে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ নিয়ে করেছে একটি বিশ্লেষণাত্বক প্রতিবেদন। সেখানে বলা হয়, বেশ কিছু মার্কিন ডেমক্রেট এবং রিপাবলিকান আইন আইনপ্রনেতারা এরইমধ্যে এই হামলার বৈধতা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। তাদের দাবি, এই হামলার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন সংবিধানের আর্টিকেল-১ ভঙ্গ করেছেন। হামলা শুরুর আগে বাইডেনের কংগ্রেসের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
তাহলে জানা যাক, মার্কিন সংবিধানের আর্টিকেল-১ কী বলছে? সেকশন ৮ এর নিবন্ধ-১ কংগ্রেসকে যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা প্রধান করে। কংগ্রেস চাইলে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। মার্কিন যুদ্ধ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, আগ্রাসন শুরু করার ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে জানাবেন এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেবেন। তবে জানা গেছে, বাইডেন কংগ্রেসকে আগ্রাসনের বিষয়ে অবহিত করলেও কোনো অনুমোদন নেননি।
এদিকে এই বিষয়ে সংবিধানের সেকশন ১০ এর ৩ নম্বর ক্লজ বলছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলাকালে দেশের কোনো রাজ্যই কংগ্রেসের সম্মতি ছাড়া সেনা মোতায়ন কিংবা যুদ্ধ জাহাজ সংরক্ষণ করতে পারবে না। যদি না তারা প্রকৃতপক্ষেই আগ্রাসনের শিকার হয়।
আইনপ্রনেতারা কী বলছেন এ বিষয়ে? শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ডেমক্রেটিক পার্টির কংগ্রেসম্যান প্রমিলা জয়াপাল তার নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, এটি সংবিধানের লঙ্ঘন এবং অগ্রহণযোগ্য।
জয়াপালের এ লেখাটি রিটুইট করে আরেক কংগ্রেসম্যান কোরি বুশও একই ধরনের কথা লেখেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সম্মতি ছাড়া প্রেসিডেন্ট যুদ্ধে জড়াতে পারে না। এটি অবৈধ এবং সংবিধানের আর্টিকেল ১ এর লঙ্ঘন।
তিনি আরও লেখেন, এই সীমাহীন যুদ্ধের মাধ্যমে মানুষ তাদের কষ্টার্জিত ডলার নষ্ট করতে চায় না। বোমাবাজি বন্ধ করুন এবং ভালো কিছু করুন।
এটিএম/
Leave a reply