আইসল্যান্ডে অগ্নুৎপাত: অস্তিত্ব সংকটে গ্রিন্ডাভিক শহর

|

ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের কবলে পড়েছে বরফের দেশ আইসল্যান্ড। লাভার ঢলের কারণে অস্তিত্ব সংকটে দেশটির গ্রিন্ডাভিক শহর। লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আগ্নেয়গিরির লাভা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।

এরইমধ্যে আগুনে পুড়ে গেছে বেশ কিছু ভবন। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, অবিরাম লাভার ঢলের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে পুরো শহরটি। তবে এতে এখনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর থেকে শুরু হয় এ অগ্ন্যুৎপাত। সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সক্রিয় রয়েছে আগ্নেয়গিরি। তবে লাভা উদগীরণ শুরুর আগে রাতেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে গ্রিন্ডাভিক শহরের প্রায় ৪ হাজার বাসিন্দাকে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, রোববার ভূমিকম্পের পর শুরু হয় এ অগ্ন্যুৎপাত। এরপর অনুভূত হয় একাধিক আফটার শক। এরপরই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে লাভা। সুরক্ষা বাঁধ থাকায় প্রথমে শহরে ঢুকতে পারেনি লাভা। তবে মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই ফাটল ধরে বাঁধটিতে। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে লোকালয়ে।

গ্রিন্ডাভিকের এক নাগরিক বলেন, এখানকার মানুষ কি ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, তা কল্পনাও করা যায় না। মনে হচ্ছে, যেন স্লো মোশনে একটি শহর ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ক্রিস্টিন জন্সডটির নামে আরেকজন বলেন, আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে খুব দ্রুতগতিতে ম্যাগমার ঢল চলে গেছে গ্রিন্ডাভিকের দিকে। ভাগ্য ভালো যে, আগে থেকে কিছু সতর্কবার্তা পেয়েছে তারা। যে কারণে ভোরবেলায় শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া গেছে। শহরের সুরক্ষায় শক্তিশালী বাঁধ থাকলেও লাভার ঢল সে বাঁধ অতিক্রম করে চলে গেছে।

উল্লেখ্য, এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে অঞ্চলটিতে দ্বিতীয়বারের মতো (গত পাঁচ বছরে পঞ্চম বারের মতো) ঘটলো অগ্নুৎপাত। সবচেয়ে ভয়াবহ রুপ নেয়ায় সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনটিকে ‘ব্ল্যাক ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেন আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply