ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় মৃত্যু উপত্যকা গাজা। যুদ্ধ শুরুর ১০৩তম দিনে এসে, এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৪ হাজার ২৮৫ ফিলিস্তিনি। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান হামলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাছাড়াও আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩২০ জনে।
সিনহুয়া জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ’ এর হামলায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৬১ হাজার ১৫৪ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আইডিএফ’ এর মুখপাত্র ড্যানিয়ের হ্যাগারির দাবি, এখন পর্যন্ত গাজায় আট থেকে নয় হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু। হামলার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ওষুধ এবং খাবারের তীব্র সংকট। চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে হাসপাতালেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে নিহতদের মধ্যে ৮ হাজার শিশু রয়েছে। ৬ হাজার ২শ’ নারী। এখনও ৭ হাজার ৬শ’ মানুষ গণনার বাহিরে রয়েছে। বিপর্যয়কর ক্ষুধা ও অনাহার সম্মুখীন ৫ লাখ ৭৬ হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকরা।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১৮ লাখ। এছাড়াও পশ্চিম তীরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১২শ’ ৮ জন। অন্যদিকে, উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্ত থেকে বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ২ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৩ জন।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজায় ১৪২টি মসজিদ, ৬৯ শতাংশের বেশি স্কুল ভবন, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি গির্জা এবং পাঁচটি ভবন ধ্বংস হয়েছে। বিবৃতি অনুসারে, ১ হাজার ৮শ’ শিশুসহ প্রায় ৬ হাজার জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের জেরে ১ হাজার ২৭০টি গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি চিকিৎসকরাও। মোট ২০০ চিকিৎসক, ২২ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিকও হামলায় নিহত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় রয়েছে ৩৬টি হাসপাতাল, ৫২টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ১২১টি অ্যাম্বুলেন্সকে ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্যবস্তু করেছে।
এখন পর্যন্ত হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আকস্মিক এই হামলায় জিম্মি করা হয় ২৪০ জন ইসরায়েলিকে।
\এআই/
Leave a reply