লোহিত সাগরে হুতিদের হামলায় উদ্বিগ্ন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

|

শহিদুল সুমন:

লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন চট্টগ্রামের আমদানিকারক ও রফতানিকারকরা। বিকল্প রুটে পণ্য আনা-নেয়ায় ১২ থেকে ১৩ দিন বেশি লাগছে, খরচ বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ ভাগ। সংকটের সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হ্রাস পাবে বলে শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

দেশে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রমের ৯০ ভাগই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এমনিতেই দুবছর আগের করোনা, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যে। সেটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে লোহিত সাগরে পন্যবাহী জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় তৈরি হয়েছে নতুন সংকট।

তবে হামলা এড়াতে অন্য রুট দিয়ে জাহাজ চলাচলে বাড়ছে খরচ। লোকসানের শংকায় উদ্বিগ্ন চট্টগ্রামের রফতানিকারকরা।

বিজিএমইএ সাবেক ১ম সহ-সভাপতি, নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রফতানির গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকা। সেক্ষেত্রে ইউরোপে জাহাজগুলো ১২ থেকে ১৪ দিন দেরি করে যাচ্ছে। একই সাথে প্রত্যেকটি কনটেইনারের ভাড়া বেড়ে গিয়েছে। ৬০ শতাংশ ভাড়া বেড়ে গেলে, সেটি ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, অতিরিক্ত ৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। সময় বেশি লাগার ফলে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি তাদের ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সী-ওয়েব শিপিংয়ের জিএম মোজাহিদুর রহমান শুভ বলেন, অন্যান্য ডেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও আমদানি নির্ভরশীল। ফলে এই সমস্যা আরও বিরাট আকার ধারন করবে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জাহাজ মালিকরা ৪০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে। সামনে আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে বিরুপ প্রভাব পড়বে। সেই সাথে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply