ইরান-পাকিস্তান: কার শক্তি কতটুকু?

|

পাকিস্তান-ইরান পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে গণমাধ্যমগুলোতে দুই দেশের সামরিক শক্তির হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। কার কত শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে, যুদ্ধ লাগলে কোন্‌ দেশ এগিয়ে থাকবে, চলছে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ। খবর

এস থ্রি হানড্রেড। রাশিয়ার নির্মিত এই ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে করেছে অজেয়। দেশটির সমর ভাণ্ডারে রয়েছে বাভার, এম আই টুয়েন্টি থ্রির মতো এমন ১২শ’র বেশি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যা ইরানের সামরিক শক্তির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। ইরানকে ঘিরে রয়েছে ২০টির বেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। মূলত ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের হামলা মোকাবেলায় সাজানো হয়েছে ইরানের সামরিক শক্তি। অন্যদিকে, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মুল স্তম্ভ এইচকিউ-৯ ও এইচকিউ-১৬ এর মতো মিসাইল সিস্টেম।

ইরানের সামরিক বাহিনী মুলত দুই ভাগে বিভক্ত। নিয়মিত বাহিনীতে সদস্য সংখ্যা ৬ লাখের বেশি। ইসরায়েল ও পশ্চিমা আগ্রাসন ঠেকানোই মূল উদ্দেশ্য ইরানের সামরিক বাহিনীর। অন্যদিকে, প্রতিবেশী ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের শত্রুতা মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। দেশটির বাহিনীতে সদস্য সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ।

ইরানের বহরে রয়েছে আড়াই হাজারের বেশি ট্যাংক। অন্যদিকে, পাকিস্তানে এ সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশাল জলসীমা থাকায় ইরান নৌবাহিনীর প্রধানতম শক্তি সাবমেরিন। ১৯টি সাবমেরিন রয়েছে ইরানের। ডেস্ট্রয়ার, করভেট, পেট্রোল বোট মিলিয়ে সামরিক নৌযান রয়েছে ১২০টির মতো। অন্যদিকে, ৫টি ডুবোজাহাজ রয়েছে পাকিস্তানের। এর পাশপাশি ৯০টির মতো রয়েছে অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ।

সুখোই থার্টি, মিগ টুয়েন্টি নাইনের মতো ৫শ’র বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে ইরানের। তবে নিজস্ব প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান তৈরি করেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্য দেশটির। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বিমান বাহিনীতে রয়েছে এফসিক্সটিন জেএফ থান্ডার মতো ফাইটার জেটসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১ হাজার সামরিক বিমান।

তবে ইরান-পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা। ইরানের সমর ভাণ্ডারে কতগুলো পরমাণু অস্ত্র রয়েছে সে বিষয়ে রয়েছে বিতর্ক। তবে ইরানের হাতে প্রায় ৩ হাজারের মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সমর ভাণ্ডারে রয়েছে ১৩০টি পরমাণু বোমা।

প্রসঙ্গত, গত (১৬ জানুয়ারি) মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সুন্নি উগ্রবাদি গ্রুপ জইশ আল-আদলের দুটি আস্তানায় মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুটি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটিকে টার্গেট করে হামলা চালায় ইসলামাবাদ।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply