দেড় বছর পার করে শেয়ারের বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ‘ফ্লোর প্রাইস’ তুলে নেয়া শুরু করলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রোববার থেকে ৩৫টি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির সর্বনিম্ন দর থাকছে না। এসব কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক ও বীমা খাতের আছে কেবল একটি করে কোম্পানি। আর সবচেয়ে বেশি ৮টি কোম্পানি আছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের।
পুঁজিবাজারে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা থাকছে না ৩৫৭টির। এসব কোম্পানির শেয়ারদর উঠা-নামার সার্কিট ব্রেকার নিয়ে বিশেষ কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে এর সর্বোচ্চসীমা ১০ শতাংশই থাকছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ২০২৩ সালের মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস তোলে দেয়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পুজিবাজার। ফেয়ার প্রাইসে ফিরবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দর। বাজারে গতি ধরে রাখার জন্যে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি শুরু হলে শেয়ারদর ক্রমেই কমার মধ্যে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আতঙ্কে আবার পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হলে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয় ২০২২ সালের ২৮ জুলাই। বিনিয়োগকারীদের একাংশের দাবির মুখে একই বছরের ডিসেম্বরে ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়।
/এমএন
Leave a reply