গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নজিরবিহীন অভিযান চালায় হামাস। অভিযানটির নাম ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’। গেলো ৫ দশকে ইহুদি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় হামলাই শুধু নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক কাঠামো বদলের অন্যতম ঘটনাও।
আলোচিত ঐ অভিযানের সাড়ে তিন মাস পর ‘আল আকসা ফ্লাড’ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করলো হামাস। জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
১৬ পৃষ্ঠার রিপোর্টে জানানো হয়, দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে জায়নবাদীরা। দখল করা হচ্ছে তাদের ভূমি। তাই অভিযান চালানো ছিল বাধ্যতামূলক।
প্রতিবেদনে অভিযানের বিভিন্ন কৌশল ও পর্যায় সম্পর্কেও তুলে ধরা হয়। পরিচালনার ক্ষেত্রে কৌশলগত কিছু ভুল ছিল, এমনটাও জানানো হয়। মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস ও সেনাদের জিম্মি করা। যাতে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করা যায়।
হামাসের দাবি, ইসলাম ধর্মে বেসামরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধের ক্ষতি করা নিষিদ্ধ। সে কারণেই অভিযানে তারা ছিল হামলার বাইরে। যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল, সেগুলো ভিত্তিহীন; এমনটাও দাবি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির।
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’-এ নিহত হয় ১২০০ বেসামরিক। জিম্মি করা হয় ২৪০ জন ইসরায়েলিকে। পরে বন্দি বিনিময় চুক্তিতে একশ’র বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়। অন্যদিকে, গাজায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ২৫ হাজার একশ’।
/এএম
Leave a reply