চুয়াডাঙ্গা করেসপনডেন্ট:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩৮) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী কবির হােসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত হাফিজা একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য জানায় পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে নিহ্তের বাবা সমশের আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, পরকীয়ার কারণে হাফিজা খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে স্বামী কবির হােসেন। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ সময় আসামি কবিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে মা নার্সিং হোম এন্ড ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজন ও সহকর্মীরা জানায়, হাফিজা প্রথম স্বামীর সংসার বিচ্ছেদের পর এই ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে কবির হোসেনের সাথে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হাফিজার দ্বিতীয় স্বামী মাঝে মধ্যেই ক্লিনিকে যাওয়া আসা করতেন। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে ক্লিনিকের ছাদে তাদের বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শোনা যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্লিনিকে হাফিজার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
/আরএইচ
Leave a reply