জন্মদিনের বার্তা ছেলের কাছে পৌঁছেছে কিনা জানেন না ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। কারণ স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ায় ছেলে জোরাওয়ার থাকে মায়ের সাথে অস্ট্রেলিয়ায়। শুধু তাই নয় সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ধাওয়ানকে ব্লক করে দিয়েছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী। তাইতো জোরাওয়ারকে নিয়ে ভাবতে বসলেই একাকীত্ব গ্রাস করছে এই মারকুটে ওপেনারকে।
প্রেম থেকে বিয়ে। তবে খুব বেশিদিন একসঙ্গে সংসার করা হয়নি আয়েশার সঙ্গে ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ানের। দু’জনের সম্পর্কের তিক্ততা পৌঁছায় চরমে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও করেছিলেন এই সাবেক ওপেনার। অবশেষে দু’জনের বিচ্ছেদ হওয়ায় ছেলের সাথে আর হয় না দেখা। শোনা হয় না সেই মধুর বাবা ডাকটি।
কারণ ছেলে জোরাওয়ার থাকে মায়ের কাছে অস্ট্রেলিয়ায়। ফলে ছেলের সঙ্গে দেখা করার উপায় পর্যন্ত নেই। জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আর তাইতো জোরাওয়ারকে নিয়ে ভাবতে বসলেই একাকীত্ব গ্রাস করছে এই মারকুটে ওপেনারকে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ছিল জোরাওয়ারের জন্মদিন। জন্মদিনে ছেলেকে কাছে না পেলেও ঠিকই দিয়েছেন জন্মদিনের বার্তা। যেখানে ছিল এক অসহায়, একাকী বাবার আবেগ। ছেলের উদ্দেশে শিখর ধাওয়ান বলেন, তোমাকে এক বছর দেখিনি। প্রায় তিন মাস ধরে সব জায়গায় আমাকে ব্লক করে দেয়া হয়েছে। তাই তিন মাস আগে শেষ বার তোমার সঙ্গে কথা বলার ছবিই দিলাম। শুভ জন্মদিন। তোমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছি না। কিন্তু আমাদের টেলিপ্যাথির যোগ রয়েছে। তোমাকে নিয়ে গর্বিত। আমি জানি তুমি খুব ভালো আছো।
সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ধাওয়ানকে ব্লক করে দিয়েছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী। দেখা বা কথা বলার সুযোগ না থাকায় মনের কথাগুলোই লিখেছিলেন ধাওয়ান। তবে ছেলেকে নিয়ে লেখা সেই আবেগঘন বার্তা আদৌ জোরাওয়ারের কাছে পৌঁছেছে কিনা সেটাও জানেন না তিনি।
শিখর ধাওয়ান, আমি বুঝতে পারিনি যে, পোস্টটা নিয়ে এতো কথা হবে। অনেক আশা নিয়ে লিখেছিলাম। ভেবেছিলাম আমার ছেলে ওটা পড়বে। ও যেখানেই থাকুক, আশাকরি এক দিন আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। আমি জোরাওয়ারকে নিয়ে রোজ কিছু না কিছু লিখি। কিন্তু জানি না আদৌ সেগুলো ওর কাছে যায় কি না। এক জন বাবা হিসাবে নিজের কর্তব্য করে যাচ্ছি আমি। দুঃখ হয়, কিন্তু সেটা নিয়ে থাকতে শিখে গিয়েছি।
দূরে থাকলেও ছেলের জন্য ভালবাসা একবিন্দুও কমেনি ধাওয়ানের। ছেলের সাথে দেখা হওয়ার প্রহর গুনছেন এই মারকুটে ব্যাটার। তিনি বলেন, বাবা সব সময় তোমাকে মিস করে। ওপরওয়ালার আশীর্বাদে আমাদের আবার দেখা হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। প্রার্থনা করি তুমি নম্র, ভদ্র, ধৈর্যশীল এবং একই সঙ্গে শক্তিশালী হও। তোমার সঙ্গে দেখা না হলেও তোমাকে রোজ মেসেজ করি। তুমি ভাল আছ কি না সেই খোঁজখবর নিই। আমি কী করছি সেই কথাও জানাই। কিন্তু তুমি সে সব দেখতে পাও না। তোমার বাবা তোমাকে খুব ভালবাসে।
দীর্ঘদিন ধরেই আছেন জাতীয় দলের বাইরে। সংসার জীবনেও নেই সুখের ছোঁয়া। তাইতো এখন ১০ বছরের ছেলের জন্য ব্যাকুল এই ভারতীয় ক্রিকেটার।
/আরআইএম
Leave a reply