গাইবান্ধায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমিতে বিদ্যুতায়িত করে তসলিম উদ্দিন ও তার চাচাতো বোন মর্জিনা খাতুনকে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হাফিজার রহমানকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

পলাতক থাকার ছয় বছর পর কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ইছাপুর বর্ষা বাজার এলাকা থেকে হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হাফিজার রহমানের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে। হাফিজার ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১৩ রংপুর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে আরাফাত ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দিনভর র‍্যাব-১৩ ও র‍্যাব-১১ যৌথ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ইছাপুর বর্ষা বাজার এলাকা থেকে হাফিজার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। হাফিজার গত ছয় বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলো। গ্রেফতারের পর তাকে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনা ও মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সাথে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছিল। মামলা চলাকালে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে হযরত আলী ধান চাষ করেন। পরে আদালতের রায় পান আব্দুল জলিল। ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যায়। এদিকে, রায় নিজের পক্ষে না পেয়ে ধানের জমিতে হযরত আলী গোপনে বিদ্যুতের তার ফেলে রাখে। পরে ওইদিন সকালে আব্দুল জলিল ও তার লোকজন ধান কাটতে গেলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার চাচাতো বোন মর্জিনা খাতুনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তারা দুইজন মারা যান। এসময় আরও চার জন শ্রমিক আহত হয়।

এ ঘটনায় নিহত তসলিম উদ্দিনের বাবা মফিজল হক বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ওইদিন রাতে ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন গাইবান্ধা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক হত্যা মামলার আসামি হাফিজার রহমানসহ তিনজনকে মৃত্যুদন্ড ও অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। রায় ঘোষনার পর থেকে আসামি হাফিজার পলাতক ছিলো।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply