বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলারদের সামনে রীতিমত খুঁটি গেড়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন রাহুল দ্রাবিড়। কোনো ডেলিভারিতেই টলানো যেত না তাকে। তাই খেতাব পেয়ে যান ‘দ্য ওয়াল’। এখন সেই দ্রাবিড়ই কোচ। তার অধীনে খেলছেন ইয়াশাসভি জয়সওয়াল। নামেই যেহেতু ‘ওয়াল’ আছে, আবার গুরুও ‘দ্য ওয়াল’, তাই ইয়াশাসভি হয়ে উঠবেন আরেক পাহাড়সম দেয়াল, এটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই।
ভারতের টেস্ট ইতিহাসে নিজের নামটি বেশ পোক্ত করেই নিলেন জয়সওয়াল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশাখাপত্তম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিয়ানের খাতায় নিজের নাম লেখালেন তিনি।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশাখাপত্তম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ডাবল সেঞ্চুরি হতে দরকার ছিল মাত্র ২১ রান। তবে যেখানে চোখেমুখে আতঙ্ক থাকার কথা সেখানে ২২ বছর বয়সী জয়সওয়ালের সাহস দেখে অবিভূত ক্রিকেট সমর্থকরা।
সামান্যতম স্নায়ু চাপও যেন ছিল না তার মধ্যে! ১৮৫ রানে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়িয়ে ছক্কা হাঁকান শোয়েব বশিরকে। এই অফ স্পিনারের পরের ওভারের প্রথম দুই বলেই আবারও এক ছক্কা আর এক চার! ব্যাস, পৌঁছে গেলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে!
ডাবল সেঞ্চুরি করতে জয়সওয়াল বল খেলেছেন ২৭৭টি। ৪২৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৯ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় ২০৯ রান করার পর জিমি অ্যান্ডারসনের বলে আউট হন এই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। এরপর আর ৫ ওভারের মধ্যে ৩৯৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন শুভমান গিল।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে জেমস অ্যান্ডারসন ২৫ ওভারে ৪৭ রানে তিন উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও দুই স্পিনার রেহান আহমেদ ও অভিষিক্ত শোয়েব বশির তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাব দিতে নেমে বেশ ভালো জবাব দিচ্ছে ইংল্যান্ড। এর আগের টেস্ট ম্যাচে অলি পোপ ও বোলিংয়ে অভিষিক্ত স্পিনার হার্টলির ঝলকে ২৮ রানে জয় পেয়েছিল সফরকারীরা।
উল্লেখ্য, জয়সওয়ালের আগে ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। সেটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৯৬ সালে। বয়সের হিসেবে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ডও কাম্বলির। প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর ২২ দিন পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দিল্লিতে আবারও দ্বিশতক করেন তিনি।
ভারতের হয়ে পরের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন সুনীল গাভাস্কার। ২১ বছর ২৭৭ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। গাভাস্কার দুর্দান্ত ওই ইনিংসটি খেলেছিলেন ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
/এমএইচ
Leave a reply