পাকিস্তানে নির্বাচনের ফল ঘোষণায় দেরি হওয়া নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলছেন দেশটির রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকরা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্স ও ডনের।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অভিযোগ, পাকিস্তানের পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলো বিবেচনায় নিলে এবারের ফল ঘোষণায় এমন বিলম্ব অস্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় শেষ হয় ভোটাভুটি। এর কিছুক্ষণ পর ভোট গণনা শুরু হলেও প্রায় ১০ ঘণ্টা পরও ফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
অতীতে পাকিস্তানের নির্বাচনে দেখা গেছে, ভোটের দিন মধ্যরাতের মধ্যে ফল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। রাত ফুরোবার আগেই বোঝা যায়, কোন দল জয় পেতে যাচ্ছে। তবে এবারে চিত্রটা ভিন্ন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভোটের ফল আসছে খুব ধীরগতিতে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। বিবৃতিতে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ জানায়, ষড়যন্ত্র করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনটি আলাদা মামলায় কারাদণ্ড পেয়ে তিনি এখন জেলে বন্দি আছেন। তবে ইমরান খান জেলের ভেতর থেকেই নিজের ভোট প্রদান করেছেন।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। সবমিলিয়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি বুথে ভোট দেন সাধারণ ভোটাররা।
/এএম
Leave a reply