যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারের পর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অনুমোদনহীন ডক্টরস কেয়ার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হসপিটাল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন । সেখানকার রোগীদের পাঠানো হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ক্লিনিকটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যমুনার অনুসন্ধানী টিম অভিযান চালিয়ে দেখতে পায় নানা রকম অনিয়ম ও চিকিৎসাসেবায় গাফিলতি। সেখানে সহকারি সার্জনের কাজটা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যাদের চিকিৎসা করেন, বেশিরভাগ রোগীকেই পাঠানো হয় আরেকটি ক্লিনিকে। যা তার নিজের।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাদীকে প্রশ্ন করলে তিনি তার নিজের ক্লিনিক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। জানান সেখানে তিনি মাঝে মাঝে রোগী দেখতে বসেন। তবে সেটির মালিকানা তার নয়।
তবে ডা. হাদীর কথার সত্যতা খুঁজতে যায় যমুনার টিম। গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকটা তার নিজেরই। কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায় বিষয়টি। যা স্বীকার করেন ক্লিনিকটির কর্মকর্তারাও। খুঁজতে খুঁজতে আরও ভয়াবহ বিষয় উঠে আসে অনুসন্ধানে। ক্লিনিক বলা হলেও এটি আসলে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র অনুমোদন নিয়ে এখানে করা হচ্ছে রোগী ভর্তি। যা রীতিমত আইনের সুস্পষ্ট লংঘন।
উল্লেখ্য, অনিয়মে চালানো অবৈধ এ ক্লিনিকটি ছিল পুরো জেলায় সবচেয়ে বড়। আলমডাঙ্গার বাইরে অন্যান্য উপজেলার রোগীদেরও চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হত এখানে। এই নামসর্বস্ব ক্লিনিকে যারা ভর্তি হতেন, সবাই সরকারি হাসপাতাল ঘুরে ডা. হাদির রেফারেই এখানে চিকিৎসাসেবা নিতেন।
/এমএইচআর
Leave a reply