ভোটে কারচুপি করে জেতানো হয়েছে, তাই ‘প্রকৃত’ জয়ীকে আসন ছাড়লেন তিনি

|

পাকিস্তানের ৮ ফেব্রুয়ারির ‘বিতর্কিত’ সাধারণ নির্বাচনে করাচি শহরের প্রাদেশিক বিধানসভার একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন জামায়াত-ই-ইসলামীর প্রার্থী হাফিজ নাঈম উর রেহমান। কিন্তু তিনি আসনটি ছেড়ে দিচ্ছেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। তার অভিযোগ, প্রকৃত জয়ী পিটিআইয়ের ওই প্রার্থী। তবে ভোট কারচুপি করে তাকে জিতিয়ে দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়, করাচি শহরের প্রাদেশিক বিধানসভার পিএস–১২৯ আসনে হাফিজ নাঈম উর রেহমানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এ সপ্তাহে তিনি বলেছেন, পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ বারী তার বিপক্ষে ভোট করে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আসন কমাতে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে তিনি আসনটি ছেড়ে দিচ্ছেন।

গত সোমবার জামায়াত-ই-ইসলামীর ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ নাঈম উর রেহমান বলেন, কেউ যদি আমাদের অবৈধ উপায়ে জেতাতে চায়, আমরা তা মেনে নেবো না। তিনি আরও বলেন, জনমতকে সম্মান করতে হবে। বিজয়ীকে জিততে দিন, পরাজিতকে হারতে দিন। কেউ যেন অতিরিক্ত সুবিধা না পায়।

হাফিজ নাঈম উর রেহমানের দাবি, ভোটে তিনি ২৬ হাজার ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফ বারী পান ৩১ হাজার ভোট। তবে চুরি করে সাইফ বারীর ভোট ১১ হাজার দেখানো হয়েছে। তবে এই ভোট চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply