‘গ্রামীণ ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছেন ড. ইউনূস’

|

গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদন ও অর্থায়নে গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ শক্তি নামক প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে। আইন অনুযায়ী এই সাতটি প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের হাতে এ আইন তৈরি হয়েছে, তারা এ আইনি প্রক্রিয়াকে জবরদখল বলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছেন এ কথা বলেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভয়ানক অবস্থার মধ্যে দিন পার করছেন তিনি। গ্রামীণ টেলিকমকে সর্বস্বান্ত করতেই নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

তখন জানানো হয়, রাজধানীর গ্রামীণ টেলিকম ভবনে তার গড়া মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান আছে, যার প্রতিটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূস। এর মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক জবরদখল করেছে বলে অভিযোগ করেন এ নোবেলবিজয়ী।

এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে এ সময় উল্লেখ করেন ড. ইউনূস। দাবি করেন, ব্যবসার মুনাফায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় নয়। আইন মেনেই সব হয়েছে। প্রয়োজনে আদালতের শরনাপন্ন হবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক আইন অনুযায়ী ড. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকসহ বাকি সাত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নন। গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো প্রতিষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানা নেই। উনি শুধু একজন পূর্ণকালীন কর্মকর্তা ছিলেন। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. ইউনূসকে সরানো হয়েছে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেদিন গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫৫তম বোর্ড সভায় আইন অনুযায়ী সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply