আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করলো ইরান। অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতিতে, দেশটি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উন্মোচন করলো সম্পূর্ণ নতুন দু’টি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই তেল আবিব ও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সরব ইরান। সরাসরি শত্রুদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও, হুতি-হিজবুল্লাহ’সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীকে মদদ দেয়ার অভিযোগ আছে তেহরানের বিরুদ্ধে। এমনকি, মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পেছনেও ইরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাল্টাপাল্টি হুমকি-হুঁশিয়ারিতে কয়েক মাস ধরে ওয়াশিংটন-তেহরান সম্পর্ক যেন আরও তেতে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে, শত্রুদের যেকোনো পদক্ষেপ মোকাবেলায় যে প্রস্তুত ইরান, সে বার্তা দিতেই যেনো উন্মোচন করলো নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানির উপস্থিতিতে প্রথমবার সামনে আনলো ‘আরমান অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেম’ ও ‘আজারাখস’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইরানের দাবি, দু’টো অস্ত্রই সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এরইমধ্যে, ‘আরমান অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেম’ একসাথে ছয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। ১২০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত শত্রুপক্ষের হামলা মোকাবেলা করতে পারে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
আজারাখস আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে টার্গেট শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে। এই ব্যবস্থায় রয়েছে চারটি রেডি টু ফায়ার মিসাইল। ইরানের দাবি, নতুন এই দু’টি অস্ত্র তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে।
এর আগে, গত জুনে প্রথমবারের মতো, নিজেদের তৈরি ‘হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল’ সামনে আনে ইরান। ‘ফাত্তাহ’ নামের আলোচিত সেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৪শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
\এআই/
Leave a reply