রমজানের আগেই বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

|

ছবি: সংগৃহীত

শীত শেষ, গরমের হাতছানি। আসছে রমজান। বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। আগে থেকেই জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এবার বাড়ছে বিদ্যুতের দামও।

এরই মধ্যে গড় ৫ শতাংশের মত দাম বাড়াতে চায় সরকার। সবচেয়ে কম মান ২০০ ইউনিট পর্যন্ত যারা ব্যবহার করেন, সেসব লাইফ লাইন গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম ইউনিটে বাড়বে ৩৫ পয়সার মতো। যারা বেশি ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে দামও বাড়বে বেশি– অন্তত ৭০/৮০ পয়সা করে। দ্রুতই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নিচের লেভেলে ৩৪ পয়সা করে বাড়ছে। প্রায় পৌনে দুই কোটি গ্রাহক লাইফ লাইনে আছে। অর্থাৎ, তারা দেয় মাত্র ৪ টাকা করে, যেখানে আমাদের খরচ হয় ১২ টাকা। ৬০০ কিলোওয়াটের উপরে আমরা বাড়াচ্ছি ৭০ পয়সার মতো।

মার্চে ব্যবহারের যে বিল এপ্রিলে দেবেন গ্রাহকরা, তাতেই গুনতে হবে নতুন দাম। মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা, ডলারে জ্বালানি আমদানির কারণে খরচ বাড়ছে উৎপাদনের। পাশাপাশি, বিদ্যুতে ভর্তুকি না দেয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা আছে সরকারের। তবে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ভোগান্তির বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, ভর্তুকি থেকে বেরোতে হবে আমাদের। ডলারের চাপের কারণে নির্বাচনের আগে থেকে বলা হচ্ছিল মূল্যের অ্যাডজাস্টমেন্টের জন্য। সুতরাং আমরা হিসাব নিকাশ করেই এটা করেছি। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের মাঝে এই মূল্য বৃদ্ধির ওরকম প্রভাব পড়বে না বলে আশা করেন তিনি।

গণশুনানি না করে এভাবে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে; এতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা ভোক্তাদের।কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, কতোটা অযৌক্তিক হচ্ছে নাকি ন্যায্য, তা গণশুনানির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ থাকে। সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নির্বাহী আদেশে দফায় দফায় অন্যায়-অযৌক্তিক উপায়ে মূল্য বৃদ্ধি করা কখনোই জনগণ বা দেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হয় না, হতে পারে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের গড় দাম ছিল ৩ টাকা ৭৩ পয়সা, যা এখন দাড়িয়েছে ৮ টাকা ২৫ পয়সায়। আর এই সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুতের দাম বাড়লো ১২ বার।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply