একইদিন জো বাইডেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত সফর ঘিরে উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাউন্সভিলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গন্তব্য ছিলো ঈগল পাসে। এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টেক্সাসের ঈগল পাসে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে আসে বহু সমর্থক। আসন্ন নির্বাচনে গুরুত্ব পাচ্ছে যে কয়টি ইস্যু, তার অন্যতম অভিবাসন নীতি। সবচেয়ে বেশি মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পথ দিয়ে। তাই, ট্রাম্পের প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে এলাকাটি।
বাইডেনের শাসনামলেই ৬৩ লাখ মানুষকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। যা, দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তাই, অভিবাসন নীতিমালা কঠোর করার বার্তা দিয়ে সাধারণ মার্কিনিদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন দুই হেভিওয়েট।
অন্যদিকে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ বাইডেনের তুমুল সমালোচনা করেন ট্রাম্প। জানান, কারাগার-মানসিক হাসপাতাল থেকে মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। সন্ত্রাসীরাও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে। এটা খুবই ভয়ঙ্কর। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ করছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজের কাজ ভালোভাবে করছেন না বাইডেন বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
অপরদিকে, বর্তমান প্রেসিডেন্টও অভিবাসীদের ঢলের জন্য দায়ী করেন, ট্রাম্পের দলকে। অভিযোগ, ডেমোক্রেটদের কঠোর অভিবাসন নীতি প্রণয়নের বিল আটকে গেছে রিপাবলিকান এমপিদের বিরোধীতায়।
বাইডেন জানান, ট্রাম্পকে বলতে চাই, অভিবাসন ইস্যুতে রাজনীতি বন্ধ করুন। কঠোর অভিবাসন নীতি প্রণয়নে যোগ দিন আমাদের সাথে। নিরাপত্তা বিল পাস হলেই সীমান্ত পরিস্থিতি বদলে যাবে। আসুন এই বিষয়ে জোট বেধে কাজ করি।
তবে, প্রার্থিতা বাছাইয়ের ভোটাভুটিতে এখন পর্যন্ত সব প্রাইমারিতে বাকিদের তুলনায় বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও এই দুই প্রবীণ রাজনীতিকের লড়াই হতে যাচ্ছে- সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
\এআই/
Leave a reply