অনাহারী ফিলিস্তিনিদের সহায়তা নিয়ে যেন এক তামাশা চলছে। ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতার ঘটনায় প্রলেপ দিতে এগিয়ে এসেছে মিত্ররা। শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় সীমান্তবর্তী সব প্রবেশপথ যখন বন্ধ তখন আকাশপথই ভরসা। উপত্যকায় এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো বিমান থেকে ফেলা হচ্ছে ত্রাণ।
ত্রাণ সংগ্রহকারী ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় যখন বিশ্বজুড়ে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় তখন, নতুন করে মানবিক সহায়তার আশ্বাস দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গাজাবাসীর সহায়তায় নতুন করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। ইউএনআরডাব্লিউএ’র পাশাপাশি আরও কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমেও সরাসরি পাঠানো হবে ত্রাণ।
ইইউ কমিশনের মুখপাত্র এরিক ম্যামার বলেছেন, ফিলিস্তিনের সহায়তায় আরও ৬৮ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করা হয়েছে। রেড ক্রস বা রেড ক্রিসেন্টের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা কার্যকর করা হবে।
এছাড়াও ইউএনআরডাব্লিউএ’র সাথে চুক্তি অনুযায়ী ৫০ মিলিয়ন ইউরো এখন দেয়া হবে। কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিতের পর দেয়া হবে বাকি ৩২ মিলিয়ন ইউরো।
জর্ডানসহ কয়েকটি দেশের পর এয়ারড্রপ পদ্ধতিতে ত্রাণ সরবরাহের উপায় বেছে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে আকাশপথে সহায়তা নিয়ে সমালোচনা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে অক্সফাম কর্মকর্তা স্কট পল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের অপরাধবোধ কমাতে এমন পদক্ষেপ, যাদের নীতি ভূমিকা রাখছে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন আর দুর্ভিক্ষে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আকাশপথে ফেলা ত্রাণ নয়, গাজার বিপর্যয় ঠেকাতে দরকার সীমান্ত খুলে দেয়া। উঁচু থেকে পাঠানো ত্রাণের প্যাকেট আরও ঝুঁকি আর বিশৃংখলাই তৈরি করবে উপত্যকায়। একই মত গাজায় সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোরও।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার গাজা কার্যালয় প্রধান জর্জিয়াস পেত্রোপুলোস বলেছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আমাদের নিরাপদ পথ দরকার। প্রতিটি প্রবেশপথ খুলে দেয়া উচিৎ। এখানকার ফিলিস্তিনিদের কেবল খাবার ও পানি নয়, চিকিৎসাসেবাও প্রয়োজন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে গাজায় বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ সরবরাহের সময় ১৪টির বেশি হামলা হয়েছে।
\এআই/
Leave a reply