বছরে কোন দেশে কতদিন স্কুল খোলা থাকে?

|

ফাইল ছবি।

নূরনবী সরকার:

সরকার ঘোষিত সময় অনুযায়ী রোজায় স্কুল-কলেজ খোলা থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দিয়ে তা জানিয়েছেন। যদিও অভিভাবকরা বলছেন, রোজা রেখে ক্লাসে বাচ্চাদের আনা-নেয়ায় তাদের কষ্ট হবে। কষ্ট হলেও মাউশির অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান ২৫ মার্চ এবং প্রাথমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস চলবে।

জেনে নেয়া যাক, বছরে কোন দেশে কতদিন ক্লাস কার্যক্রম চলে—

চলতি বছরে বাংলাদেশে স্কুল-কলেজে গড়ে ২শ’ দিনের মতো শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিকে তা ১১ দিন বেশি। প্রতিবেশী ভারতে ২২০ দিন স্কুল খোলা থাকে বছরে। পাকিস্তানে ক্লাস চলে ২৫০ দিন।

জনসংখ্যার দিক থেকে দুনিয়ার বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীরা বছরে ২৪০ দিন স্কুলে যায়। দক্ষিণ কোরিয়াতে ২২০ দিন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০, বৃটেনে ১৯০, আমেরিকায় ১৮০, সিঙ্গাপুরে ১৮৭ দিন শিক্ষা কার্যক্রম চলে।

নেপাল সরকারের নিয়ম হলো বছরে ২২০ দিন স্কুল খোলা রাখা। ১৮০ দিন স্কুল খোলা থাকে ভুটানে।

মুসলিমদের তীর্থ ভূমি সৌদিতে স্কুল ক্লাস চলে বছরে ১৮০ দিন। ইরানে ২শ’ দিন খোলা থাকে স্কুল, আর আফগানিস্তানে থাকে ১৮৬ দিন। মালয়েশিয়াতে বছরে ১৯০ দিন স্কুল চালু থাকে। জাপানে ২১০ দিন স্কুল চলে বছরে।

স্কুলে কত ঘণ্টা থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের?

স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে তাইওয়ানের ছাত্রছাত্রীরা দৈনিক গড়ে ১০ ঘণ্টা স্কুলে কাটায়। যেটা দুনিয়াতে সর্বোচ্চ। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে চীনের স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা স্কুলে কাটায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা।

ইউরোপের ফ্রেঞ্চ ভাষার শিক্ষার্থীদের স্কুলে ৮ ঘণ্টা থাকতে হয়। ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানির ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে সবচেয়ে কম সময় কাটায়, যা ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। যা দুনিয়াতে সর্বনিম্ন।

আমেরিকার ক্ষেত্রে তা ৭ ঘণ্টা, বৃটেনে ৭ ঘণ্টা। বাংলাদেশে ৮ ঘণ্টার মতো স্কুলে কাটায় শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানভেদে অবশ্য এটার তারতম্য আছে। ভারতের প্রাথমিক স্তরে ৪ ঘণ্টা, পরের স্তরগুলোতে ৮ ঘণ্টা ক্লাস চলে। পাকিস্তানেও ৮ ঘণ্টা থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের।

আফগানিস্তানে প্রাথমিকে ৩ ঘণ্টা, আর অন্য স্তরে ৮ ঘণ্টার মতো দিনে স্কুল খোলা থাকে। ইরানের শিক্ষার্থীদের দৈনিক সাড়ে ৫ ঘণ্টা পড়তে হয় স্কুলে। সৌদির স্কুলগুলোতে দৈনিক সাড়ে ৮ ঘণ্টা ক্লাস হয়। মালয়েশিয়াতে সাড়ে ৭ ঘণ্টা স্কুল কার্যক্রম চলে। জাপানে পড়ুয়ারা স্কুলে দিনে সাড়ে ৬ ঘণ্টা কাটায়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply