পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। যা অবিলম্বে কার্যকরের কথা জানানো হয়েছিল। শুক্রবার (১৬ মার্চ) এ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল অধিদফতর। তবে সেটি শনিবারও কার্যকর হয়নি। নির্ধারিত দামে কোনো পণ্য তো মিলছেই না, বরং কিছু পণ্যের দাম আরও বেড়েছে।
পাইকারি ও খুচরা কোনো পর্যায়েই বেধে দেয়া দামের তোয়াক্কা করছেন না বিক্রেতারা। এ বিষয়ে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, পাইকারি পর্যায়ে নির্ধারিত দামে পণ্য কিনতে পারছেন না তারা। পাইকারি বাজারে দাম কমলে, খুচরা বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়া বেধে দেয়া দামের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলেও দাবি করছেন তিনি।
এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা কার্যকরে বাজারে কোনো তদারকি নেই। এই মূল্যবৃদ্ধির সাথে সিন্ডিকেট জড়িত।
আরও পড়ুন: গরু, খাসি ও মুরগির মাংসসহ ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দিল কৃষি বিপণন অধিদফতর
কৃষি বিপণন অধিদফতরের নির্ধারণ করা মূল্য অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ছোলা ৯৮ টাকা দরে বিক্রি কথা বলা থাকলেও, তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রির কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
এদিকে মাংস ব্যবসায়ীরাও সরকার নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা করছেন না। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও, তা বিক্রি করছেন ৭৫০ টাকায়।
মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারের বেধে দেয়া পাইকারি দামে তারা কিনতে পারছেন না। অপরদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উৎপাদক ও আমদানিকারক পর্যায়ে পণ্যের দাম কমেনি। সেদিকে সরকারের নজর দেয়া উচিৎ। এমনটি করা না হলে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি কঠিন হবে বলেও জানান তারা।
/আরএইচ/এনকে
Leave a reply