ভারতজুড়ে সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। সোমবার (২৫ মার্চ) দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মন্দির তো বটেই, লোকালয়ে লোকালয়ে নানা রঙে মাতোয়ারা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস– ফাগুন পূর্ণিমায় ফুলের রেণু ছিটিয়ে দোল উৎসব করতেন ভগবান কৃষ্ণ ও রাধা। তাদের সেই চিরন্তন প্রেমেরই পূজা করা হয় এ উৎসবে। শুধু তাই নয়, ১৪৮৬ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি দোল পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু জন্মগ্রহণ করার পর এই তিথিকে ‘গৌর পূর্ণিমা’ও বলা হয়।
দুদিনব্যাপী এই উৎসবের প্রথমদিন পালিত হয় ‘হোলিকা দাহন’। বিশ্বাস, এই পূজার মধ্য দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা যায় জীবনের সব নেতিবাচক জিনিস। আর পরের দিন রঙের খেলায় মেতে ওঠেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। নানা রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলেন তারা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার বড় পরিসরে দোল উৎসব উদযাপন করছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। দোলকে কেন্দ্র করে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
উল্লেখ্য, দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। ভারতের অবাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ‘হোলি উৎসব’ হিসেবে পালন করলেও বাঙালিরা এই উৎসবকে ‘দোল উৎসব’ বা ‘দোল পূর্ণিমা’ নামেই পালন করে থাকে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম-যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও।
/এএম
Leave a reply