কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে বাংলাদেশি জন্মসনদ ইস্যুতে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছেন পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান। সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজসহ আরও ৩ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ যমুনা নিউজে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে নিবন্ধন করা হয়েছে বাংলাদেশি জন্মসনদ। কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ সেই কাজ করেন। মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে তিনি তৈরি করেন ভুয়া জন্মসনদ।
যমুনায় খবর প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম এর ফলোআপ করে। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় নিলয়সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হয় মামলা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক নিলয় পারভেজ।
এ ঘটনায় পাবনার জেলা প্রশাসককে তদন্তভার দেন রেজিস্টার জেনারেল। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপ-পরিচালক সাইফুর রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের দোষ প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে শিগগিরই।
পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসি জানান, মামলার তদন্তে আমরা গুরুত্ব দেবো কে এটি করিয়েছে, কীভাবে করেছে, আরও কতগুলো হয়েছে। এগুলো উন্মোচিত হওয়া দরকার।
যমুনা টেলিভিশনে খবরটি প্রচারের পর হতবাক পাবনার সচেতন নাগরিকরা। সেই ঘটনার পর থেকে স্থগিত ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধন সার্ভার। সাধারণ মানুষের দাবি, দোষীদের বিচার হোক, ভোগান্তি কমুক জনসাধারণের।
/এমএন
Leave a reply