কাওছার হোসেন, বরিশাল:
রমজানের শুরুতেই সরগরম থাকতো ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ কাউন্টারগুলো। দম ফেলার ফুরসত ছিল না কাউন্টার স্টাফদের। তবে সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। গেল ২৯ মার্চ থেকে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে তেমন সাড়া নেই যাত্রীদের। অথচ বছর দুই আগেও ঈদের ছুটিতে লঞ্চ কেবিনের টিকিটের জন্য কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরতেন সাধারণ মানুষ। আগাম স্লিপ জমা দিয়েও জুটতো না কাঙিক্ষত টিকিট।
জানা যায়, পদ্মা সেতু চালুর আগে ঈদের সময়ে প্রতিদিন অর্ধলাখ মানুষ যাতায়াত করতো বরিশাল নৌ বন্দর থেকে। এখন সেখানে দিন দিন যাত্রী কমছে।
লঞ্চ কাউন্টারের এক স্টাফ বলেন, অন্যবছর টিকিটের চাহিদা বেশি ছিল। এবছর আসলে সেইরকম চাপ দেখতে পাচ্ছি না। ২৯ মার্চ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত বিক্রি করবো। ধীরে ধীরে টিকিটের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে এক যাত্রী বলেন, আগে ব্যাপক ঝক্কি নিয়ে বাড়ি যেতে হতো। টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় দামও গুণতে হয়ে হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। এক হাজার টাকার কেবিন আড়াই হাজারে কিনেও বাড়ি গিয়েছি।
তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের আশা, শেষ সময়ে যাত্রী চাপ বাড়বে। এ জন্য ৬ এপ্রিল থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ ঈদের আগে বিশেষ সার্ভিস পরিচালনার পরিকল্পনা লঞ্চ মালিকদের। যাত্রী চাপ সামাল দিতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আমরা ৮, ৯ ও ১০ এপ্রিল স্পেশাল সার্ভিস দেবো। এরপর যাত্রীর চাপের ওপর সেই সেবা নির্ভর করবে। যাত্রী যতই হোক আমাদের লঞ্চ প্রস্তুত আছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আশা করছি ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা নির্বিঘ্নে নৌপথে ঢাকা থেকে বরিশাল ফিরতে পারবে। এছাড়া ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় আবার ফিরতে পারবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিআইডব্লিউটিএ’সহ সব সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে।
/এনকে
Leave a reply