কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

|

জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত, চট্টগ্রাম:

শান্তি আলোচনা চলার মধ্যেই হঠাৎ উগ্র আচরণ করে বসে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। ৩য় দফা বৈঠকের আগে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আলোচনার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

সংগঠনটির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ২০২৩ সালের জুনে গঠিত কমিটির সাথে শুরু হয় শান্তি আলোচনা। গত ৫ মার্চ বেথেলপাড়ায় ২য় দফা বৈঠক হয়, আজ ৫ এপ্রিল তৃতীয় দফা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শান্তি আলোচনা চলার মাঝপথে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইটি ব্যাংকের ৩ শাখায় সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যদের হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুট, ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনা জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার উদ্দেশ্য, আলোচনাকে ভন্ডুল করা। তাদের পেছনে যারা ইন্ধনদাতা ও উসকানিদাতা, এ নিয়ে গোয়েন্দা দুর্বলতা আছে। সেটা পূরণ করতে হবে। না হয় পার্বত্য অঞ্চলে ডাকাতরা উৎসাহবোধ করবে।

২০২২ সালের ২১ জুন রাঙামাটির সাইজামপাড়ায় ব্রাশফায়ারে ৩ জনকে হত্যার পর কেএনএফ প্রথম আলোচনায় আসে। এরপর আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণা দিয়ে একের পর এক জড়িয়েছে সশস্ত্র সংঘাতে। তাদের আস্তানায় অভিযানে কয়েকজন ধরাও পড়ে। সংগঠনটির প্রধান নাথান বমের বাড়িও বান্দরবানের বমপাড়ায়।

কেএনএফের অস্ত্র ও অর্থের উৎস নিয়েও ভাবার পরামর্শ গবেষকদের। অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন বলেন, এটা এখন আর ছোটখাটো সংগঠনের কাজ তা বলা যাবে না। আন্তর্জাতিক যে সম্পৃকক্তা আছে, তা মোটামুটি নিশ্চিত। সংগঠনটি শক্তিমত্তার পরিচয় দিচ্ছে। অস্ত্র যেগুলো আসছে, সেগুলো তো আর এখানে তৈরি হচ্ছে না। সুতরাং এই অস্ত্র সরবারহে ক্রস ন্যাশনাল নেটওয়ার্কের বিষয় আছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply