হাত দিয়ে টানলেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ

|

একমাসও হয়নি সড়কের সংস্কার কাজ। অথচ হাত দিয়ে টানতেই উঠে যাচ্ছে পিচ! অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কের এই বেহাল অবস্থা। সেটি শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা সংযোগ সড়ক।

জানা গেছে, মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলায় এই সংযোগ সড়কটিই রাজধানী থেকে পদ্মাসেতু হয়ে শরীয়তপুর যাওয়ার অন্যতম ভরসা। গেল বছরের ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৭৭ কিলোমিটারের এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়। বরাদ্দ দেয়া হয় ৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও ৩ মাস আগেই মার্চের প্রথম সপ্তাহে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। অথচ মাস না পেরুতেই দুর্ভোগে স্থানীয়রা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খুবই নিম্নমানের কাজ করেছে। এজন্য এমনটি হয়েছে। বৃষ্টি হলে এই রাস্তা ভেঙে যাবে।

তবে নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি ঠিকাদারের। বলছেন, ভারি যান চলাচলের কারণেই সড়কের এমন ক্ষতি হয়েছে। ঠিকাদার রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, বাস্তবায়ন করার সময়ই নানা সমস্যা মোকাবেলা করেছি। এটি শরীয়তপুরের একমাত্র সড়ক। যে কারণে কাজ চলাকালীন এক সেকেন্ডের জন্য সড়কটি বন্ধ করা যায়নি। যখন প্রাইম কোট করা হয়েছে, তখনও সড়ক দিয়ে গাড়ি গেছে। আবার যখন কার্পেটিং করা হয়, তখনও এর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করেছে। তাহলে কাজ টেকসই কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

একই কথা এলজিইডি কর্মকর্তাদের মুখেও। দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হচ্ছে জানিয়ে শরীয়তপুরের এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, কাজে ঠিকাদার বা এলজিইডি’র কোনো গাফিলতি নেই।সড়কটিতে অতি ভারী গাড়ি চলাচল করায় এমনটি হয়েছে। এটির নকশায় হেভিলোডের বিষয় ছিল না। সেজন্য সড়কে ফাটলসহ কিছু ত্রুটি দেখা গিয়েছে। সেটি সংস্কার করা হচ্ছে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply