আলুর ভরা মৌসুম। এর মধ্যে আমদানিও হচ্ছে, তবুও স্বস্তি মিলছে না আলুর বাজারে। ঈদের পরে আলুর দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। মানভেদে এক কেজি আলুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫৫ টাকা পর্যন্ত।
দোকানদাররা সরকার নির্ধারিত দরের কোনো তোয়াক্কাই করছেন না। এমনকি মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও মানছেন না কেউই। পর্যাপ্ত মজুদ সত্বেও এমন দাম বৃদ্ধির ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। তাদের ভাষ্য, তদারকির দুর্বলতায় ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
এদিকে, দাম বৃদ্ধির জন্য সরবরাহ ঘাটতির অযুহাত তুলছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, উৎপাদক পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ মিলছে না। আমদানি করা আলুর তেমন যোগান নেই বাজারে। অপরদিকে আড়াতদারদের দাবি, ভালো দাম পাওয়ার আশায় এখন বেশিরভাগ আলু সংরক্ষণ করা হচ্ছে হিমাগারে।
হিলির আমদানি-রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান, ভারত থেকেও এখন বাড়তি দরে আলু আনতে হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যায়ে।
উল্লেখ্য, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যান বলছে, এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৮৪ শতাংশের বেশি।
/এমএন
Leave a reply